Gene Hackman

শৌচাগারে স্ত্রীর মৃতদেহ, সাত দিন একা বেঁচেছিলেন হ্যাকম্যান! তাঁর সম্পত্তি চাইতে আসছেন কারা?

হ্যাকম্যানের প্রথম স্ত্রী ফায়ে মালটেসের সঙ্গে তাঁর তিন সন্তান— ক্রিস্টোফার, লেসলি এবং এলিজ়াবেথ। এঁদের বয়স এখন ৫৮ থেকে ৬৫-র মধ্যে। আরাকাওয়ার কোনও সন্তান ছিল না।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ১১:২২
Share:
Image of Gene Hackman

গত ফেব্রুয়ারি মাসে মৃত্যু হয় হলিউড অভিনেতা জেন হ্যাকম্যান ও তাঁর স্ত্রী বেটসি আরাকাওয়ার। ছবি: সংগৃহীত।

পর্দায় ছিলেন ‘সুপারম্যান’, এক সময় তাঁর গ্ল্যামারে বুঁদ ছিল রুপোলি দুনিয়া। হাতে এসেছিল দু’টি অস্কার। ৯৫ বছর বয়সে সেই অভিনেতারই মৃত্যু হল অযত্নে, প্রায় অনাহারে। তিনি জেন হ্যাকম্যান। শেষ বয়সে অ্যালঝাইমার গ্রাস করেছিল তাঁর মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্রও চলত বাইরের সহায়তায়। ভরসা ছিলেন দ্বিতীয় স্ত্রী বেটসি আরাকাওয়া। ফুসফুসজনিত অসুস্থতায় ৬৫ বছরের বেটসির মৃত্যুর পর প্রায় এক সপ্তাহ বেঁচেছিলেন নিঃসঙ্গ হ্যাকম্যান। তার পর তিনিও ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। বেশ কিছু দিন পর তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয় একই সঙ্গে।

Advertisement

এ বার উঠতে চলেছে অন্য প্রশ্ন। হ্যাকম্যানের রেখে যাওয়া বিপুল ঐশ্বর্য এর পর ভোগ করবেন কে? জানা গিয়েছে, প্রায় ৮ কোটি ডলারের সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন হ্যাকম্যান। তাঁর ইচ্ছাপত্রে লেখা রয়েছে এই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবেন দ্বিতীয় স্ত্রী আরাকাওয়াই। ২০০৫ সালের পর এই ইচ্ছাপত্রে আর কোনও বদল করা হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।

এ দিকে হ্যাকম্যানের প্রথম স্ত্রী ফায়ে মালটেসের সঙ্গে তাঁর তিন সন্তান— ক্রিস্টোফার, লেসলি এবং এলিজ়াবেথ। এঁদের বয়স এখন ৫৮ থেকে ৬৫-র মধ্যে। আরাকাওয়ার কোনও সন্তান ছিল না। এখনও জানা যায়নি, হ্যাকম্যানের ইচ্ছাপত্রে এই তিন সন্তানের কারও নাম সম্পত্তিপ্রাপক হিসাবে উল্লেখ করা ছিল কি না! ফলে এই মুহূর্তে যে কোনও আইনি লড়াই শুরু হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর তেমন ইঙ্গিতও পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, হ্যাকম্যানের বড় ছেলে ৬৫ বছরের ক্রিস্টোফার ইতিমধ্যেই এক আইনজীবীর দ্বারস্থ হয়েছেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, তাঁর বোনেরাও যে জমি ছেড়ে দেবেন এমন সম্ভাবনা কম। এরই পাশাপাশি আরাকাওয়া আবার এক ইচ্ছাপত্রে তাঁর সমস্ত সম্পত্তি এক অছির হাতে ন্যস্ত করার কথা লিখে রেখে গিয়েছেন। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী, চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত খরচ মেটানোর পর সব সম্পত্তি দাতব্য করে দেওয়া হবে। এ ছাড়াও, একটি শর্ত তিনি দিয়েছিলেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল, যদি তাঁর স্বামী তাঁর মৃত্যুর পর ৯০ দিন পর্যন্ত বাঁচেন, তা হলে সমস্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবেন হ্যাকম্যানই। কিন্তু এই শর্ত ইতিমধ্যেই মূল্যহীন হয়ে পড়েছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে নিউ জার্সির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় হ্যাকম্যান, তাঁর স্ত্রী ও একটি পোষ্যের মৃতদেহ। হ্যাকম্যানের পেসমেকার থেকে জানা যায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। শৌচাগার থেকে পাওয়া যায় আরাকাওয়ার দেহ। পুলিশের দাবি, তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে আরও সপ্তাহখানেক আগেই। সম্ভবত ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হন তিনি। তাঁদের তিন পোষ্য সারমেয়র মধ্যে একটির মৃত্যু হয়। অন্য দু’টিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement