ঠাকুরপুকুর-কাণ্ড নিয়ে সোচ্চার স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
রাগ বাড়ছে টেলিপাড়ার। ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বাংলা বিনোদন দুনিয়ার খ্যাতনামীরা। ঠাকুরপুকুর গাড়ি দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত ছোট পর্দার পরিচালক ভিক্টো ওরফে সিদ্ধান্ত দাস। তাঁর গাড়ি জখম করেছে ছয় জনকে। তাঁদের মধ্যে এক জন মৃত। খবর ছড়িয়ে পড়তেই অস্থিরতা বেড়েছে। সোমবার আনন্দবাজার ডট কমের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, রূপা ভট্টাচার্য, সাহেব ভট্টাচার্য, তৃণা সাহা। এ বার সোচ্চার স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
বরাবর অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব তিনি। আরজি কর-কাণ্ডেও তাঁকে পথে নামতে দেখা গিয়েছিল। এ বার ছোট পর্দার অভিযুক্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। সমাজমাধ্যমে লিখলেন, “এমনিই নৈরাজ্য। তার মধ্যে মদ খেয়ে এই ভাবে এলোপাথাড়ি গাড়ি চালিয়ে লোককে মেরে ফেললেও যদি কোনও শাস্তি না হয় এবং রাতারাতি বেল পেয়ে তারা যে যার বাড়ি চলে গিয়ে শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে তা হলে আর আইন বা ট্র্যাফিক আইনের কোনও দরকার নেই। যে যা ইচ্ছে তাই করবে, গাড়ি চাপা দেবে, খুন করবে, রেপ করবে, তার পর কিছুই হবে না!”
আরজি কর-কাণ্ডের পরেও একই ভাবে সরব। হতাশা, রাগ, যন্ত্রণা, বিরক্তি ভিড় করেছে তাঁর লেখার ছত্রে ছত্রে। তিনি শুরুই করেছেন এই ভাবে, এত দিন অভিনেত্রী জেনে এসেছেন মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো মারাত্মক দণ্ডনীয় অপরাধ। কাউকে পিষে দিলে তো কথাই নেই। দেশের, বিশেষ করে কলকাতার আইন এতটাই কড়া যে প্রশাসন কাউকে রেয়াত করে না। কোনও প্রভাব খাটে না এই ধরনের অপরাধে। এমনকি, গাড়িতে মহিলা থাকলে তিনিও ছাড় পান না। ঠাকুরপুকুর-কাণ্ডে সেই ছবি বদলে যেতে তিনি বিস্মিত।
স্বস্তিকা জানতে চেয়েছেন, তা হলে এত মারাত্মক একটা ঘটনা ঘটার পরে সকলে কী করে জামিন পেয়ে গেলেন? যে অভিনেত্রী বাজার থেকে পালালেন তাঁকে নাকি ধরাই হয়নি! তিনি কে? তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হল কেন? বেসামাল অবস্থায় ‘নো এন্ট্রি’ রাস্তায় ঢুকে পড়ে ছয় জনকে জখম করলেন কেউ। তাঁদের এক জন মৃত। এই একজনের মৃত্যুটা কি ইয়ার্কি? তিনি সমব্যথী সেই নিরপরাধ পথচারীর প্রতি, যিনি সকালে বাজার করতে এসে প্রাণ হারালেন। স্বস্তিকার সমবেদনা মৃতের পরিবারের প্রতিও। সঙ্গে ক্ষোভ, “যাঁর বাড়ির লোক সকালবেলা বাজার করতে এসে আমাদের জন্য প্রাণ হারালেন, আর যাঁরা হাসপাতালে জীবন নিয়ে লড়ছেন, তাঁদের দায় কার? তাঁদের কী হবে?
অভিনেত্রীর আক্ষেপ, “সহ্য করার একটা সীমা থাকে। সব গিয়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছি আমরা।” দুর্ঘটনার সময় অভিযুক্ত পরিচালকের গাড়িতে অভিনেত্রী ঋ সেনগুপ্ত, সান বাংলার কার্যনির্বাহী প্রযোজক শ্রিয়া বসু ছিলেন। তিনি তাঁদেরও শাস্তি চেয়েছেন। তাঁর চোখে ওঁরাও সমান দোষী।