শ্রুতি দাস। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোয় নতুন পোশাক কিনবেন না, সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রুতি দাস। কিন্তু পরিবারে দুর্গাপুজো হয়। তাই যোগ দিতেই হয়েছিল। আর এ বার ভাইফোঁটা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেত্রী। জানালেন এ বছর ভাইফোঁটায় আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের ভাইফোঁটা দিতে চান তিনি।
সমাজমাধ্যমে নিজের এই ইচ্ছের কথা প্রকাশ করেন শ্রুতি। এ বছর, নিজের দাদা ও ভাইদের সঙ্গে দেখা হবে না। তাই কিঞ্জল নন্দ-সহ অন্য জুনিয়র চিকিৎসকদেরই ভাইয়ের সম্মান দিতে চান শ্রুতি। অভিনেত্রী লিখেছেন, “এ বছর আমার ভাই, দাদারা কেউ ভাইফোঁটায় আমার কাছে থাকতে পারছেন না। কিঞ্জল নন্দ এবং তাঁর সহযোদ্ধা কয়েক জন চিকিৎসক দাদা-ভাইদের ফোঁটা দিতে চাই।”
তবে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত আলাপ নেই। তাই এই বার্তা তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “আমার সঙ্গে কারও আলাপ নেই। বার্তাটা একটু পৌঁছে দেবেন। আমি সে দিন পৌঁছে যাব। ইচ্ছে আছে, বাকিটা ভাগ্য।”
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই সমাজমাধ্যমে সরব শ্রুতি। তাই শ্বশুরবাড়ির পুজোয় যোগ দেবেন বলতেই ট্রোলড হয়েছিলেন অভিনেত্রী। শ্বশুরবাড়ির পুজো সংক্রান্ত একটি পোস্ট পর্যন্ত সরিয়ে দিতে বাধ্য হন তিনি। শ্রুতি জানিয়েছিলেন, পোস্টটি রাখা উচিত নয়। তাই মুছে ফেলেছেন।
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনে শ্রুতি লিখেছিলেন, “অনেকেই বলেছেন, আমি খুব সফল ভাবে মিছিলের প্রথমে হেঁটেছি। কিন্তু এই প্রশংসায় আমি যে খুব খুশি হয়েছি, এমন নয়। আমার ভিতরের আগুন বেরিয়ে এসেছে, সেটা ঠিক। কিন্তু যে কারণে এই মিছিল করতে হল, সেটা মর্মান্তিক। আর মিছিলের উদ্দেশ্যই হল, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করা।”