শ্রদ্ধা শ্রীনাথ (বাঁদিক)- বরুণ ও নাতাশা (ডানদিকে) ইনস্টাগ্রাম
বরুণ-নাতাশার বিয়ে নিয়ে মাতামাতি নেটদুনিয়ায়। তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সকলে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন নবদম্পতিকে। কিন্তু হাওয়ার বিপরীতে মন্তব্য করেই বিতর্কে জড়ালেন দক্ষিণী অভিনেত্রী শ্রদ্ধা শ্রীনাথ।
কী মন্তব্য করেছেন দক্ষিণী অভিনেত্রী?
সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় বরুণ ধবন ও নাতাশা দালালের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। ছবির নীচে একটি পরিচ্ছেদে তিনি লেখেন, ‘আরও এক জন ভাল অভিনেতা ছবির জগত থেকে মিলিয়ে যাবেন। দুঃখের বিষয় যে তাঁকে আর পর্দায় দেখতে পাব না আমরা। বিয়ের পর তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অন্য নায়িকাদের সঙ্গে অভিনয় করতে দেবেন কিনা সন্দেহ। সম্ভবত এ বার থেকে কেবল নায়ক-কেন্দ্রিক ছবিতেই অভিনয় করবেন তিনি। কিন্তু তাতেও কী ভাবে পেশা আর ব্যক্তিগত জীবনকে সামলাবেন তিনি? কঠিন! মিস করব বরুণ ধবনকে। যাই হোক, শুভেচ্ছা জানাই অভিনেতাকে।’
সঙ্গে সঙ্গে তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা তৈরি হয় নেট-পাড়ায়। প্রশ্ন ও সমালোচনা চলতে থাকে এক টানা— কেন এমন কথা বললেন তিনি! বরুণ অভিনয় কেন ছাড়তে যাবেন! কেউ কেউ আবার মন্তব্যটিকে সম্পূর্ণ মশকরা ভেবে উড়িয়ে দিলেন।
কিন্তু সত্যিটা কী? বরুণ ধবন অভিনয় ছেড়ে দেবেন, এমন কোনও কথা তো চাউর হয়নি! তবে?
শ্রদ্ধা শ্রীনাথের দু’টি পোস্ট গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ
উত্তর পাওয়া গেল অভিনেত্রীর দ্বিতীয় পোস্টে। ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি দিলেন শ্রদ্ধা। বোঝা গেল যে পোস্টটি মশকরা করার জন্য করা হয়নি। এর পিছনে ছিল বৃহৎ উদ্দেশ্য। তবে অভিনয় না করার তথ্যটিও সত্য নয়। তিনি কেবল নেটাগরিকদের প্রতিক্রিয়া দেখতে চেয়েছিলেন। এক জন অভিনেত্রীর বিয়ে হতে না হতেই এই ধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করে চার দিকে। ‘নিশ্চয়ই অভিনেত্রী এ বার অভিনয় ছেড়ে দেবেন। তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকেরা নিশ্চয়ই তাঁকে আর অভিনয় করতে দেবেন না। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর সব দিকটা সামলাবেন কী করে?’ ঠিক সেই প্রশ্নগুলোই তুললেন দক্ষিণী অভিনেত্রী। কেবল অভিনেত্রীর বিয়ের জায়গায় অভিনেতার বিয়ের সময়ে এই প্রশ্ন তুললেন তিনি। মশকরার মোড়কে কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি করতে চাইলেন নেটাগরিকদের। তিনি লিখলেন, ‘পুরুষতান্ত্রিক ভাবনাচিন্তার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিলাম। গোটা প্রশ্নের ক্ষেত্রে কেবল লিঙ্গটি দিয়েছিলাম বদলে। তাতে পুরো পোস্টটাকে মশকরা বলে মনে হল তাই না? এক জন অভিনেত্রীর ক্ষেত্রে এই প্রশ্নগুলো উঠলে তখন আর অবাস্তব বা হাস্যকর মনে হয় না কেন?’ শেষে পুনশ্চ দিয়ে লিখলেন, ‘তোমাদের সবাইকে ভালবাসি আমি।’