সারার টাকার উপর নজরদারি করেন অমৃতা। ছবি: সংগৃহীত।
নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রী হলেও ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছেন সারা আলি খান। মুম্বইয়ের টিনসেল টাউনে তিনি এখন পরিচিত মুখ। কিন্তু আর্থিক দিক থেকে এখনও পুরোপুরি স্বাধীনতা পাননি অভিনেত্রী। মা অমৃতা সিংহের কড়া নজরদারি থাকে কন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের উপর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনই জানালেন সারা।
মায়ের অনুমতি ছাড়া এক টাকাও খরচ করতে পারেন না সারা। এমনকি অভিনেত্রীর ‘গুগল পে’ অ্যাকাউন্ট পর্যন্ত অমৃতা সিংহের নিয়ন্ত্রণে থাকে। যদিও সারা নিজেকে মিতব্যয়ী বলেই দাবি করেন। দেদার টাকা খরচ করা পছন্দও করেন না। অভিনেত্রী বলেছেন, “আমি টাকা ওড়াই না। কিন্তু নিজের ছোটখাটো শখ তো পূরণ করাই যায়।” সারা ভ্রমণপ্রেমী। তাই বেড়াতে যাওয়ার জন্য টাকা বাঁচিয়ে রাখেন।
ছোটবেলা থেকেই টাকার মূ্ল্য বোঝেন সারা। তাই তিনি বলেছেন, “আমি এক টাকার মূল্যও বুঝি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অল্প করে টাকা বিনিয়োগ করা উচিত বলে আমি মনে করি। আমার টাকাপয়সা সামলান আমার মা। এমনকি আমার ‘গুগল পে’ অ্যাকাউন্টও মায়ের মোবাইল ফোনের সঙ্গে যুক্ত করা রয়েছে। সমস্ত ওটিপি মায়ের ফোনে আসে।”
মাকে না জানিয়ে বেড়াতে যাওয়ার জন্য একটা টিকিট পর্যন্ত কাটতে পারেন না সারা। তবে বর্তমানে তিনি বহুতল, শেয়ার বাজার, সোনার বন্ডে টাকা বিনিয়োগ করেন বলে জানান তিনি। তবে কপিল শর্মার অনুষ্ঠানে সারাকে নিয়ে উল্টো কথা বলেছিলেন ভিকি কৌশল। সেই সময়ে তাঁরা একটি ছবির প্রচার করছিলেন। ভিকি বলেছিলেন, “ও (সারা) অমৃতা ম্যামকে খুব বকাবকি করে। আমি এক বার জানতে চেয়েছিলাম, কী হয়েছে? তখন আমাকে সারা বলে, ‘মায়ের কোনও বুদ্ধিই নেই। ১৬০০ টাকার তোয়ালে কিনেছে।’ এই জন্য মায়ের উপর চিৎকার করে সারা।” এই শুনে অভিনেত্রী সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলেন, “আরে ১৬০০ টাকা দিয়ে কে তোয়ালে কেনে! ভ্যানিটি ভ্যানে তো এমনিই বিনে পয়সার তোয়ালে পড়ে থাকে।”