পর্দায় মিঠুন-রঞ্জিতা জুটি জনপ্রিয় ছিল দর্শকদের কাছে। কিন্তু একবার রঞ্জিতা গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন মিঠুনের বিরুদ্ধে।
নায়িকা রঞ্জিতার অভিযোগ ছিল, মিঠুন তাঁর কেরিয়ার বরবাদ করে দিয়েছেন।
বলিউডে দু’জনেই যথেষ্ট স্ট্রাগল করেছেন। কেরিয়ারের কঠিন সময়ে বেশ কিছু বি গ্রেড ছবিতেও অভিনয় করতে হয়েছে তাঁদের।
মিঠুন-রঞ্জিতা একসঙ্গে মোট এগারোটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। সেগুলির মধ্যে ‘গুনাহ কে দেবতা’, ‘হম সে বড়কর কৌন’, ‘তকদীর কা বাদশা’, ‘তরানা’, ‘কিসমত’-সহ বেশ কিছু ছবি জনপ্রিয় হয়েছিল।
মিঠুন এবং রঞ্জিতা একইসময়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি মিঠুনের প্লাস পয়েন্ট ছিল নাচের দক্ষতা। ফলে সব মিলিয়ে বি গ্রেড থেকে এ গ্রেডে উত্তরণে সমস্যা হয়নি।
প্রতিযোগিতার দৌড়ে পিছিয়ে পড়েন রঞ্জিতা। পরবর্তীতে মিঠুন যখন সুপারস্টার, রঞ্জিতা কার্যত হারিয়েই গিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে।
রঞ্জিতা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর কেরিয়ার মুখ থুবড়ে পড়েছে মিঠুনের জন্যই।
মিঠুনের সঙ্গে যখন সুপারহিট নায়িকারা অভিনয় করতে চাইতেন না, তখন তিনি স্বচ্ছন্দে কাজ করেছেন। বক্তব্য রঞ্জিতার।
কিন্তু সুপারস্টার হয়ে যাওয়ার পরে মিঠুন তাঁকে মনে রাখেননি। আক্ষেপ অভিনেত্রীর। এমনকি মিঠুন নাকি তাঁর জন্য সুপারিশও করেননি বলে অভিযোগ রঞ্জিতার।
তবে মিঠুন ঘনিষ্ঠরা আবার অন্য কথা বলেন। তাঁদের দাবি, ইন্ডাস্ট্রিতে মিঠুন সকলের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তিনি সুপারিশ করলেও পরিচালক-প্রযোজকরাই রঞ্জিতাকে ছবিতে সুযোগ দিতে চাননি বলে দাবি মিঠুন ভক্তদের।
তবে ২০০৮-এ আবার জুটি বেঁধেছিলেন মিঠুন রঞ্জিতা। অভিনয় করেছিলেন ‘জিন্দগী তেরে নাম’ ছবিতে। তবে ছবিটি মুক্তি পেতে অনেক দেরি হয়।
অবশেষে ২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। কিন্তু বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়।