ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন নেহল। ছবি: সংগৃহীত।
গত দু’বছর ধরে চেনাজানা। সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি মডেল-অভিনেত্রী নেহল চুডাসমা। ২০১৮ সালের ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। সমাজমাধ্যমে নেহলের ভয়াবহ স্বীকারোক্তি দেখে স্তম্ভিত তাঁর অনুরাগীরা।
টানা দু’বছর ধরে বছর চল্লিশের এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ ছিল তাঁর। তার কাছে হেনস্থা হতে হল নেহলকে। মঙ্গলবার সেই ঘটনার বিবরণ দিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, “গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আমাকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয়। বাঁ হাত ও কব্জি মুচড়ে দেওয়া হয়। আমাকে এত জোরে চড় মারা হয়েছিল, কানে তালা পড়ে গিয়েছিল। গালে লাল দাগ হয়ে গিয়েছিল। আমাকে চেপে ধরে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল, সারা শরীরে কালশিটে পড়ে যায়।” শুধু তা-ই নয়, নেহলের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি তাঁকে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন। নেহলের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অবশ্য পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। ওই ব্যক্তি এখন পুলিশের জালে।
নেহল জানিয়েছেন, এমনিতেই ওই ব্যক্তির দশাসই চেহারা। হামলার রাতে প্রকাশ্য রাস্তায় নেহলের গাড়ির সামনের দরজা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিলেন তিনি। নেহল বলেছেন, “আমার পিছনে ধাওয়া করা হত। নানা ভাবে মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে গত কয়েক মাসে। আমি খুব নম্র ভাবেই এই সব বন্ধ করতে বলেছিলাম। কিন্তু খুব জোর দিয়ে বলিনি। তাই ওই ব্যক্তি আরও বেশি করে আমাকে হেনস্থা করতে শুরু করেন। দৈত্যের মতো আমাকে হেনস্থা করেছেন, মৌখিক ও শারীরিক, দু’ভাবেই।”
হামলার সময় ঠিক কী ঘটেছিল, তা-ও জানিয়েছেন নেহল। তাঁর দাবি, হামলার সময় ওই ব্যক্তিকে পাল্টা মারার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। পথচারী দুই মহিলা তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে থানায় ছুটে গিয়েছিলেন নেহল। অভিযোগ দায়ের করার পরই পুলিশ তৎপর হয়। গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। নেহল জানিয়েছেন, পরে তিনি জানতে পারেন ওই ব্যক্তি আরও নানা রকম অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই ঘটনার পরে অভিনেত্রীর উপলব্ধি, মহিলারা আসলে কোথাও নিরাপদ নয়। কিন্তু এই ধরনের অপরাধ সহ্য করাও উচিত নয় বলেই তিনি মনে করেন।