Bollywood

পাশে ছিল না আত্মজন, দৃষ্টিহীন ‘জোহরা জবীঁ’ চলে যান নিঃসঙ্গতার মধ্যেই

অচলার জন্ম ১৯২০-র ৩ মে অবিভক্ত ভারতের পেশোয়ারে। তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো-র লাহৌর স্টেশনের শিশুশিল্পী ছিলেন। দেশভাগের পরে ওয়াঘার এ পারে এসে অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর দিল্লি স্টেশনেও অনুষ্ঠান করেছিলেন। বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ ১৯৩৮ সালে, ‘ফ্যাশনেবল ওয়াইফ’ ছবিতে। সারা জীবনে কাজ করেছেন ১৩০-টিরও বেশি ছবিতে। শেষ জীবনে তিনি হয়ে উঠেছিলেন যশরাজ ফিল্ম-এর ব্যানারে প্রধান চরিত্রাভিনেত্রী।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯ ১৭:৩১
Share:
০১ ১০

রোশনাই ভরা মেহফিলে বলরাজ সাহনির লিপে মান্না দে-এর কণ্ঠে ‘জোহরা জবীঁ’-র উদ্দেশে সেই অমোঘ প্রেমের গান। হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে চিরসবুজ রোমান্টিক গানের মধ্যে অন্যতম। অথচ আমরা অনেকেই জানি না, পর্দার বাইরে ‘ওয়ক্ত’ ছবির জোহরা জবীঁ অর্থাৎ অভিনেত্রী অচলা সচদেবের শেষ জীবন নিদারুণ কষ্টে কেটেছিল। তাঁকে দেখারও কেউ ছিল না।

০২ ১০

অচলার জন্ম ১৯২০-র ৩ মে অবিভক্ত ভারতের পেশোয়ারে। তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো-র লাহৌর স্টেশনের শিশুশিল্পী ছিলেন। দেশভাগের পরে ওয়াঘার এ পারে এসে অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর দিল্লি স্টেশনেও অনুষ্ঠান করেছিলেন। বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ ১৯৩৮ সালে, ‘ফ্যাশনেবল ওয়াইফ’ ছবিতে। সারা জীবনে কাজ করেছেন ১৩০-টিরও বেশি ছবিতে। শেষ জীবনে তিনি হয়ে উঠেছিলেন যশরাজ ফিল্ম-এর ব্যানারে প্রধান চরিত্রাভিনেত্রী।

Advertisement
০৩ ১০

‘ওয়ক্ত’, ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’, ‘চাঁদনি’, ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’-সহ একাধিক ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকমনে দাগ কেটে গিয়েছিল। কাজ করেছেন দু’টি ইংরেজি ছবিতেও।

০৪ ১০

এক ছবির সেটে যশ চোপড়া তাঁর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তথা ব্যবসায়ী ক্লিফোর্ড ডগলাস পিটার্সের। ক্লিফোর্ড ছিলেন বৈদ্যুতিন সামগ্রীর ব্যবসায়ী। পুণেয় ছিল তাঁর কারখানা ‘মরিস ইলেকট্রনিক্স’। পরে পিরামল গোষ্ঠী কিনে নিয়েছিল পুরো ব্যবসা। প্রথম বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরে বিপত্নীক ক্লিফোর্ডকে বিয়ে করেছিলেন অচলা। অচলার অভিনয় করায় পূর্ণ সমর্থন ছিল স্বামী ক্লিফোর্ডের।

০৫ ১০

ক্লিফোর্ডের মৃত্যুর পরে বাইরের দুনিয়া থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন অচলা। অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন আধ্যাত্মিক জীবনে। বারো বছর ধরে নিজেকে কার্যত বন্দি করে রেখেছিলেন দু’কামরার ফ্ল্যাটে। সঙ্গী বলতে শুধু আয়া। দিন কাটত ভক্তিমূলক গান শুনে আর জপ-তপ-ধ্যানে।

০৬ ১০

মৃত্যুর পাঁচ বছর আগে অচলা তাঁর সব সম্পত্তি, এমনকি ফ্ল্যাটও দান করে দিয়েছিলেন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে। প্রতিদানে তারা কথা দিয়েছিল, অচলার শেষ জীবনে দেখভালের দায়িত্ব নেবে।

০৭ ১০

২০১১ সালের সেপ্টেম্বেরে ফ্ল্যাটের বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন অচলা। তাঁর পা ভেঙে গিয়েছিল। এরপর তাঁর সম্পূর্ণ শরীরই ধীরে ধীরে অশক্ত হয়ে পড়ে। পক্ষাঘাতে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

০৮ ১০

শয্যাশায়ী হয়েই কাটিয়েছিলেন প্রায় আট মাস। চলে গিয়েছিল দৃষ্টিশক্তিও। অচলা প্রয়াত হন ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল। জীবনের শেষ কয়েকটা দিন আর্থিক ও মানসিক, দু’ দিক থেকেই তিনি ছিলেন নিঃস্ব ও রিক্ত।

০৯ ১০

অচলার সন্তানরা কেউ মায়ের সঙ্গে সে ভাবে সম্পর্ক রাখতেন না। তাঁর মেয়ে মুম্বইয়ে থাকতেন। কিন্তু মায়ের খোঁজও নিতেন না।

১০ ১০

অচলার ছেলে জ্যোতীন কর্মসূত্রে থাকতেন আমেরিকায়। শোনা যায়, মায়ের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বলতে ছিল শুধু টেলিফোনে কথা। ২০০৬ সালে অচলা আমেরিকায় ছেলের কাছে গিয়েছিলেন নাতনির বিয়ে উপলক্ষে। কিন্তু ছেলে তাঁর সঙ্গে ফেরেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement