সোনালি এবং ভাস্বর।
কে বলে ইন্ডাস্ট্রিতে বন্ধুত্ব হয় না? টলিপাড়া নাকি আপাদমস্তক পেশাদারিত্বে মোড়া? হাত বাড়ালেই এখানেও যে বন্ধু মেলে, দেখিয়ে দিলেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, সোনালি চৌধুরী। খুব শিগ্গিরি ‘মা’ হতে চলেছেন সোনালি। ভাস্বরের কথায়, ‘‘২৩ বছরের বন্ধুকে ভাল-মন্দ খাওয়াব না?’’ সেই উপলক্ষে মঙ্গলবার সোনালির বাড়িতে হাজির ভাস্বর। বলরাম মল্লিকের সাজানো থালা হাতে। আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানালেন, ‘‘মিষ্টি খেতে ভালবাসে সোনালি। প্রথম মা হচ্ছে। তাই মিষ্টি আর নোনতা খাবার ওর জন্য ছোট্ট উপহার।’’
এ ভাবেই চেনা প্রথাও যেন ভাঙলেন ভাস্বর। হবু মাকে সাধ খাওয়ানোর রেওয়াজ বহু যুগ ধরে সীমাবদ্ধ ছিল শুধুই মেয়েদের মধ্যে। ২১ শতকে এসে ভাস্বরের এই পদক্ষেপ লিঙ্গভেদ বিরোধিতার উদাহরণ হয়ে রইল।
সাল ১৯৯৮। প্রথম এক সঙ্গে ক্যামেরার মুখোমুখি। সেই থেকে বন্ধুত্ব। দিন এগিয়েছে, বছর ঘুরেছে। বন্ধুত্ব বেড়েছে বই কমেনি। সেই টানেই মুখোমুখি ২ অভিনেতা। বন্ধুকে নিজের হাতে সাধ খাইয়ে খুব খুশি ভাস্বর। বললেন, "অনেক দিন ধরেই ইচ্ছে ছিল। শ্যুটিংয়ের চাপে হয়ে উঠছিল না। অবশেষে সখ মিটল। দারুণ ভাল লাগছে।"
কী বলছেন হবু মা? উচ্ছ্বসিত সোনালিও। জানালেন, ‘‘সবাই বলেন, কাজের দুনিয়ায় নাকি বন্ধুত্ব হয় না। কথাটা বোধ হয় ঠিক নয়। তা হলে ভাস্বর এ ভাবে ছুটে আসত না।’’ সোনালির দাবি, ভাস্বরের মতোই দোলন রায় সহ একাধিক বন্ধু অভিনেতা তাঁকে সাধ খাওয়াবেন বলে জানিয়েছেন। তবে ভাস্বর শুধুই খাওয়াননি। ‘রিটার্ন গিফট’ হিসেবে সোনালির মায়ের হাতের লুচি, সাদা আলুর তরকারি, মিষ্টি জমিয়ে খেয়েছেন। হাসতে হাসতে ফাঁস করেছেন অভিনেত্রী।
চিকিৎসকের কথা মতো আগামী জুনে সোনালির কোল জুড়ে আসতে চলেছে তাঁর প্রথম সন্তান। আপাতত বাড়িতেই টানা বিশ্রামে রয়েছেন তিনি। অক্ষরে অক্ষরে নির্দেশ মানছেন চিকিৎসকের। মন ভাল রাখতে গান শুনছেন, বই পড়ছেন। আর আড্ডা দিচ্ছেন বন্ধুদের সঙ্গে। ‘‘আজই তো সারা দুপুর আড্ডা দিলাম আমরা। রাজনীতি থেকে ইন্ডাস্ট্রি-- কিচ্ছু বাদ ছিল না সেই গুলতানিতে’’, দাবি ২ বন্ধুর।