গত ৩০ মার্চ মুক্তি পেয়েছে অজয় পরিচালিত চতুর্থ ছবি ‘ভোলা’। তরুণের দাবি, ‘ভোলা’ তাঁকে অনেক অনেক ভাল মুহূর্ত দিয়েছে। ছবি—সংগৃহীত
চরিত্রের প্রয়োজনে অভিনেতাদের কী না করতে হয়! অজয় দেবগন পরিচালিত ‘ভোলা’ মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। এই ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ গেহলট। শুটিং চলাকালীন রাস্তায় বেরোনো মুশকিল হয়ে উঠেছিল তাঁর পক্ষে। অসুবিধা হচ্ছিল জীবনযাপনেও। তার মূল কারণ দাড়ি!
‘ভোলা’ ছবিতে রৌনক চরিত্রে অভিনয় করাকালীন সাত-আট মাস দাড়ি কামাননি তরুণ। চরিত্রের পুরুষালি চেহারা ফুটিয়ে তোলাই ছিল এর উদ্দেশ্য। তরুণের অভিনয় এর আগে প্রশংসিত হয়েছে ‘দ্য টেস্ট কেস’, ‘কেদারনাথ’, ‘দ্য ফেম গেম’-এ। পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউট-এর প্রাক্তনী তরুণ বললেন, “এই চরিত্রটার জন্য অজয়স্যর আমার উপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখেছিলেন। এটা তাঁরই দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। আমি সাত-আট মাস ধরে দাড়ি রেখেছিলাম চরিত্রের দিনযাপনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য। যাতে আরও বেশি পুরুষালি দেখায়, শক্তিশালী দেখায়, তা-ই ছিল উদ্দেশ্য।”
পরিচালক অজয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। তরুণের কথায়, “অজয়স্যর খুবই পরিশ্রমী। বললে অত্যুক্তি হয় না যে, সেটে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রমী তিনিই। সবার আগে শুটিং ফ্লোরে আসতেন, সবার শেষে যেতেন। আমি ভাবতাম, এই লোকটা ঘুমোয় কখন?”
‘ভোলা’ ছবিতে কাজ করা তাঁর কাছে বড় অভিজ্ঞতা বলে জানান। এর আগে ‘রুদ্র’ ছবিতেও অজয়ের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তরুণ। সেখানে সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
অভিনেতা বলেন, “ ওখানে আমার চরিত্রটি ছিল শৃঙ্খলাবদ্ধ। এই চরিত্রটা নায়কোচিত এবং অগোছালো, অবিন্যস্ত চেহারার।”
তাঁর অভিনীত রৌনক চরিত্রটি সম্পর্কেও বলেন তিনি। তাঁর চরিত্রটি পুলিশের চরের, যে কাজ করে গোপনে। শেষে হয়ে ওঠেন ‘আব্বাস আলি’। তরুণ বলেন, “ এই ছবিতে একটি দুর্দান্ত দৃশ্য আছে, যেটি করতে পেরে আমি ধন্য। এই ছবির কাস্টিং টিমের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তাঁরা আমার আগের কাজ দেখেই ডেকেছিলেন। আমার কথা যে তাঁদের মাথায় ছিল, এতেই আমি আপ্লুত।”
গত ৩০ মার্চ মুক্তি পেয়েছে অজয় পরিচালিত চতুর্থ ছবি ‘ভোলা’। তরুণের দাবি, ‘ভোলা’ তাঁকে অনেক অনেক ভাল মুহূর্ত দিয়েছে। অনেক কিছু শিখেছেন, যা পরে কাজে লাগাতে চান অভিনেতা।