বড় পর্দার ‘জীবন্ত ভানু’ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় গ্রাফিক্স: সনৎ সিংহ।
কে বলে রুপোলি পর্দার মানুষেরা কেবলই প্রচারের লোভে সর্বত্র শামিল? আরজি কর-কাণ্ডের মতো নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদ সারা দেশ জুড়ে। বাদ যায়নি বাংলা বিনোদন দুনিয়াও। একের পর এক ছবিমুক্তি, ছবির ঝলক মুক্তি স্থগিত। যেমন, সম্প্রতি ‘অঙ্ক কী কঠিন’ ছবির মুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় এ বার শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘যমালয়ে জীবন্ত ভানু’ও। খবর, ছবির পরিচালক কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, প্রযোজক সুমন দাস-সহ সকলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এখন ছবিমুক্তির পরিস্থিতি নয়। নির্যাতিতার ন্যায় পাওয়া জরুরি।
এর আগে সাক্ষাৎকারে আনন্দবাজার অনলাইনকে পরিচালক জানিয়েছিলেন, ছবিটি অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন নিয়ে তৈরি। অভিনয় জীবনের পাশাপাশি উঠে আসবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও। নানা জায়গায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, স্বদেশি আন্দোলনের সময় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় সক্রিয় আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। ২০২৪-এর আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদেও পথে নামতেন তিনি? আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল বড় পর্দার ‘জীবন্ত ভানু’শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। অভিনেতার কথায়, “ওঁর চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে যেটুকু বুঝলাম তাতে বলতে পারি, বেঁচে থাকলে এই প্রতিবাদী আন্দোলনে নিশ্চিত যোগ দিতেন তিনি। পথে নেমে সকলের সঙ্গে পা মেলাতেন।”তাঁর মতে, ১৪ অগস্টের রাত থেকে নির্যাতিতার ন্যায় চেয়ে সকলে পথে নামছেন, লিঙ্গনির্বিশেষে, দেশে-বিদেশে। এমন পরিস্থিতিতে ‘যমালয়ে জীবন্ত ভানু’র ছবি পিছনোর সিদ্ধান্ত নিল নির্মাতা। তাঁদের মত, এখন লক্ষ্য সকলের স্থির থাক, নির্যাতিতা ন্যায় বিচার পান।
শাশ্বত জানিয়েছেন, দিনের শেষে তিনিও একজন সাধারণ নাগরিক। তাই তিনিও আশায় বাঁচেন। নতুন সকালের স্বপ্ন দেখেন। তাঁর আশা, অন্যায় মুছে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে। এ-ও বুঝেছেন, একমাত্র সম্মিলিত আন্দোলন পারে সেই ন্যায় ছিনিয়ে আনতে। তাই তাঁর পরামর্শ, “যত দিন না ন্যায় আসে প্রতিবাদী মিছিল জারি থাকুক। পথেই হোক পথ চেনা।”