ঋষি কৌশিক। — ফাইল চিত্র।
ক্রিকেট বা ফুটবল নিয়ে আমার কোনও দিনই ইন্টারেস্ট ছিল না। ছোটবেলার ব্যাডমিন্টন খেলতাম। ফর্ম্যাল ট্রেনিংও করেছি। আর টিভিতে হাঁ করে বসে দেখতাম কার রেসিং। আমার ছোটবেলায় ফুটবল মানে ছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। রবিবার করে মাঝেমধ্যে ম্যাচের হাইলাইটস্ দেখাত। বাবা দেখতেন। ব্যস, ওই পর্যন্তই।
আরও পড়ুন, খেলায় পরাজয়, কিন্তু ভারতের মন জয়
কিন্তু গতকাল থেকে যেটা শুরু হয়েছে সেটা নিঃসন্দেহে বিগ ইভেন্ট। এই প্রথম ভারতে বিশ্বকাপ হচ্ছে। হোক না সেটা যুব বিশ্বকাপ। গতকাল আমেরিকার কাছে তিন গোলে আমরা হেরেছি ঠিকই। তবে আরও ম্যাচ বাকি রয়েছে। আমি আশাবাদী। নিশ্চয়ই আমরা ভাল করব। নিজের দেশ জিতলে কার না ভাল লাগে বলুন?
আরও পড়ুন, ভবিষ্যতের ভাইচুং, সুব্রতদের নিয়ে স্বপ্ন দেখার শুরু
তবে এখন এই যুব বিশ্বকাপ মহিলা ক্রিকেট দলের মতো। ঝুলন গোস্বামী বাঙালি বলে হয়তো কেউ কেউ চিনতেন। কয়েক দিন আগে ফাইনালে ওঠার আগে পর্যন্ত মিতালি রাজকে কত জন চিনতেন বলুন তো? তবে প্রতিভা আবিষ্কার তো এ ভাবেই হয়। বাচ্চা ছেলেদের যদি এ ভাবে খোঁজ শুরু হয় সে তো ভালই।
বাঁদিকে ভারতের অনিকেত যাদব ও ডানদিকে আমেরিকার ক্রিস গোলস্টার। শুক্রবারের ম্যাচে চলছে বল নিয়ে লড়াই। ছবি: এএফপি।
একটা কথা আমি বিশ্বাস করি, চ্যাম্পিয়ন্স আর বর্ন, দে ক্যান নেভার বি মেড। আর এক একটা দেশের এক এক রকম স্টাইল থাকে। লাতিন আমেরিকা, স্পেন বা ইতালি যেমন ফুটবল। আবার রোমানিয়া বা চিন থেকে কখনও ক্রিকেটার বা ফুটবলার বেরবে? ওখান থেকে জিমন্যাসিয়ানই বেরবে। আমাদের দেশে ফুটবল এখনও নেগলেক্টেড। বিশেষত নর্থ ইর্স্টান স্টেটের ছেলেরা তো খুবই নেগলেক্টেড। পাহাড়ি ছেলেদের যা স্ট্যামিনা থাকে তা না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। আমাদের দৌড়নো মানে ওদের হাঁটা। কিন্তু এটা স্বীকার করতেই হবে, যুব বিশ্বকাপ যে শুরু হয়েছে সেটা খুব পজিটিভ। ভবিষ্যতে ভারত নিশ্চয়ই ফুটবল মানচিত্রে ভাল জায়গা করে নেবে।