মুখোশের লুকে পায়েল।
দুষ্টু-মিষ্টি বা নস্টালজিক চরিত্রেই এতদিন দেখা গিয়েছে তাঁকে। এবার একটু স্বাদ বদল।চরিত্রে ধূসর ছায়া। হ্যাঁ, অভিনেতা পায়েল সরকার এবার নতুন ভূমিকায়।পরিচালক অর্ঘ্যদীপ চট্টোপাধ্যায়ের নতুন ফিল্ম ‘মুখোশ’-এরপামেলাতিনি।পামেলা চরিত্রটা কেন পছন্দ হল?
পায়েলের কথায়: “আমার মনে হয়েছিল চরিত্রটাতে অনেককিছু করার আছে। মানে অনেকগুলো লেয়ারস আছে, পামেলার একটা হিস্ট্রি আছে, ব্যাকগ্রাউন্ড আছে...একটা ইভলিউশন আছে। ইটস নট আ ভেরি স্ট্রেট লাইন ক্যারেক্টার। সেজন্য আমার ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছিল।”
প্রথম বার ডার্ক চরিত্রে আপনি? পায়েল শেয়ার করলেন, “টু সাম এক্সটেন্ট, ইয়েস।”
এই চরিত্রের আলাদা কী গুরুত্ব আছে আপনার কাছে? পায়েলের ব্যাখ্যা:“আমি সব চরিত্রকেই গুরুত্ব দিই। যখনই চরিত্রটা ইন্টারেস্টিং হয়, এক্সাইটিং হয়... ডেফিনিটলি চরিত্র এক্সাইটিং হলে সব সময় ভাললাগে। সেটা যদি ডার্ক হয় দ্যাটস অ্যান আসপেক্ট। ডার্ক বলে গুরুত্ব দিচ্ছি এরকম নয়। চরিত্রটা ভাল, ইন্টারেস্টিং... এইজন্য গুরুত্ব দিচ্ছি। অ্যান্ড অ্যাজ আ ম্যাটার অব ফ্যাক্ট,এই চরিত্রটার মধ্যে একটা ডার্ক শেড রয়েছে।”
আরও পড়ুন- পুজোর ছুটিতে কেনিয়ায় রাজ-শুভশ্রী, দেখে নিন ফোটো অ্যালবাম
আপনার চরিত্রটা ঠিক কেমন? এই ফিল্মের অন্যতম অভিনেতা রজতাভ দত্ত বললেন, “একজন ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট কাম পলিটিক্যাল পার্সন রণজয়, যে একবার নির্বাচিত হয়েছে। পরবর্তীকালে আর একবার নির্বাচিত হতে চলেছে। ওই ভোটের মাঝখানে, গ্যাপে তার জীবনে একটা ঘটনা ঘটে। এটা হচ্ছে আমার চরিত্রর দিক। আর ফিল্মটা যেহেতু থ্রিলার, এর থেকে বেশি কিছু বলব না।”
কেন রাজি হলেন? রজতাভ দত্তযোগ করলেন, “আমি তো পেশাদার হিসেবে বিভিন্ন রকম চরিত্র করতে পছন্দ করি। পরিচালক অর্ঘ্যদীপ খুবই ইয়ং একটি ছেলে, একদম নতুনই বলা যায়। স্ক্রিপ্টটায় মনে হয়েছিল ফ্রেশনেস রয়েছে, আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার চোখ রয়েছে। সেটা কথা বলতে বলতে খানিকটা অনুভব করা যায়। আর ডিরেক্টর তো মাথার মধ্যে ছবিটা সব থেকে আগে দেখতে পান। আমার মনে হয়েছিল অর্ঘ্যদীপের কাছে পুরো ব্যাপারটা খুব স্বচ্ছ, কনফিউশন নেই।”
‘মুখোশ’-এর কলাকুশলীরা
গল্পটা ঠিক কী? পরিচালক অর্ঘ্যদীপ শোনালেন গল্প, “মাঝ রাতের পর থানায় একটি মেয়ে এসে কমপ্লেন করে যে তার দিদি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। তার অভিযোগের তির জামাইবাবুর দিকে। কিন্তু ডায়েরি লিখতে গিয়ে জামাইবাবুর নাম শুনে পুলিশ চমকে যায়। কারণ জামাইবাবু হিসেবে যার কথা বলা হচ্ছে তিনি কলকাতার একজন খুব প্রভাবশালী ভদ্রলোক। কিন্তু অভিযোগকারিণীর বয়স, অসহায়তা, ডেসপারেশন দেখে গোয়েন্দা বিভাগেরভারপ্রাপ্ত প্রধান কেসটা তদন্ত করতে শুরু করেন। গল্পের জার্নি শুরু হয়। তদন্ত করতে করতে অনেকগুলো বিষয় সামনে আসতে থাকে। গল্পের শেষে আদৌ কি দিদিকে খুঁজে পাওয়া যায়, নাকি নিছক একটা অপহরণের ঘটনা, নাকি এর পিছনে অন্য কিছু লুকিয়ে আছে? কী ভাবে তদন্তের জট ছাড়াতে ছাড়াতে গল্প এগবে সেটা ছবি দেখলে বোঝা যাবে।”
বিশেষ চরিত্রে শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়। তাঁর চরিত্রটা কী? তিনি জানালেন, ‘‘মুখোশ’-এ আমার চরিত্র পুলিশ অফিসারের। নাম সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে একটি মেয়ে হাই প্রোফাইল একজনের বিরুদ্ধে তার কাছে অভিযোগ জানায়। সেই লোকের বিরুদ্ধে আগেই সে তদন্ত করেছে। কিন্তু প্রমাণের অভাবে লোকটা ছাড়া পেয়ে যায়।সে অভিযোগ পেয়ে আবার মুভ করে। তদন্ত শুরু হয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই গল্প।”
আরও পড়ুন- পছন্দ করি না ‘কবীর সিং’-কে, বললেন করিনা কপূর
ফিল্মের দিদি কে? অর্ঘ্যদীপ সাবধানী, “দিদি কে আমিও জানি না।”
দিদিকে ফিল্মে দেখা যাবে? অর্ঘ্যদীপ বলেন, “দিদি নিখোঁজ। সেখান থেকে গল্প শুরু। দিদিকে যদি পাওয়া যায় তখন আমরা জানতে পারব দিদি কে, তার ঠিক কী হয়েছে। দিদি একটা মিস্ট্রি।”
পায়েলই কি দিদি? অর্ঘ্যদীপ বললেন, “না, পায়েল অন্য চরিত্র। পায়েল রনিদার (রজতাভ দত্ত) লাভ ইন্টারেস্ট বলা যায়। এই সম্পর্কের কারণেই দিদি নিখোঁজ, এরকম একটা ধারণা থেকে ছবিটা ইনিশিয়ালি শুরু হয়। কিন্তু ছবির শেষে কাকে কী ভাবে দেখব এখন বলা যাবে না।”
ফিল্মের অন্যান্য চরিত্রে প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, নতুন মুখ অমৃতা প্রমুখ।সেপ্টেম্বরের প্রথম থেকে শুরু হয়েছে ফিল্মের শুটিং। আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ প্রেক্ষাগৃহে ফিল্মটি দেখতে পাবেন দর্শক, জানালেন পরিচালক। ডিওপি মধুরা পালিতের আলোছায়ায় কী ভাবে জমে উঠবে রহস্য এখন তারই অপেক্ষা।