‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালের পিসিমা কেন ডিভোর্স চাইছেন তাঁর স্বামীর থেকে? ফাইল চিত্র।
মৌমিতা চক্রবর্তী। টলিপাড়ার পরিচিত মুখ। এই মুহূ্র্তে বিভিন্ন সিরিয়ালে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা যায়। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বড় পর্দায় অভিনয়ের মাধ্যমে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ১৪ বছর হয়ে গেল সংসার পেতেছেন মৌমিতা। এই ১৪ বছর নাকি তাঁর কাছে বনবাসের মতো। তাই তো মাঝেমাঝেই তাঁর মনে হয় আলিপুর কোর্টে গিয়ে বসে থাকার কথা।
‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর মঞ্চে এসে মৌমিতা বললেন, “আলিপুর কোর্টে গিয়ে বলতে চাই, আমি ডিভোর্স চাই ।” মৌমিতার এই কথা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়লেন রচনা। এমন কথা শুনে রচনা হাসছেন! খুবই অন্য রকম শোনালেও আসলে এমনটাই ঘটেছে। আসলে সবটাই মৌমিতা বলছিলেন মজার ছলে। তাই তো তাঁর কথা শুনে ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে হাসির রোল। উপস্থিত ছিলেন মৌমিতার স্বামী উত্তম দত্তও। ১৪ বছরের দাম্পত্য প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “আমি আমার বরের আরও একটা বিয়ে দিতে চাই, তবে ও আমার মূল্যটা বুঝতে পারবে। মাঝেমাঝেই আমার মনে হয় রাতে আলিপুর কোর্টের বাইরে গিয়ে বসে থাকি। সকালে কোর্ট খুললেই প্রথমে গিয়ে বলব আমি এক নম্বরে আছি, আমার ডিভোর্স চাই। আবার অনেক সময় মনে হয় এই উত্তমকে ছাড়া আমি বাঁচব না।” নিজেদের এই টক-ঝাল-মিষ্টি দাম্পত্যের কাহিনিই সকলের সামনে তুলে ধরলেন মৌমিতা।
প্রসঙ্গত, ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালে মধুমিতার পিসির চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। দর্শক চূড়ান্ত পছন্দও করেছিলেন পাকা চুলের সেই মৌমিতাকে। আপাতত অভিনেত্রীকে নতুন ভাবে দেখার অপেক্ষায় দর্শক।