প্রয়াত মনু মুখোপাধ্যায়।
নেই ‘মছলিবাবা’। রবিবার সকাল প্রায় ১০টা নাগাদ প্রয়াত হলেন অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন তিনি। এক এক করে নক্ষত্র পতন বাংলা ছবির জগতে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পর মনু মুখোপাধ্যায়। টলিপাড়ায় যেন শোকের ছায়া কাটতেই চাইছে না।
মঞ্চ থেকে সোনালি পর্দা। জীবনের শেষবেলা পর্যন্ত কাজ করে গিয়েছেন। যদিও অসুস্থতার জন্য শেষ কিছু বছর শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি।
জন্ম টালায়। বাবা অমরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের মতো তিনিও থিয়েটারের দুনিয়ায় পা দিয়েছিলেন জীবনের শুরুর দিকেই। প্রথমে প্রম্পটার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। ধীরে ধীরে মঞ্চের আলোয় এসে দাঁড়ান। প্রথম উল্লেখযোগ্য অভিনয় ‘ক্ষুধা’ নাটকে। আর ঘুরে দাঁড়াতে হয়নি তাঁকে। প্রথম ছবি ১৯৫৯ সালে। মৃণাল সেনের ‘নীল আকাশের নীচে’। কিন্তু জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছবি সম্ভবত ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’। সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত করেছেন। মিনার্ভা থিয়েটারে মহড়া চলছে। ল্যান্ডলাইনে একটি ফোন এল। সেটাই ছিল জীবনের মোড় ঘোরানো ঘটনা। সত্যজিৎ রায় তাঁকে দেখা করতে বলেছেন। তার পর? ছবি ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’-র ‘মছলিবাবা’ রূপে আবির্ভূত হলেন তিনি। এ ছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হল, ‘গণদেবতা’, ‘মৃগয়া’, ‘অশনি সংকেত’, ‘শ্বেত পাথরের থালা’, ‘পাতালঘর’, ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: ‘নেতাজি’ এ বার লোকগীতি শিল্পী, মাটির গানে মন ভরাতে আসছেন শহরে
তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে শোকবার্তা জানিয়েছেন। ‘থিয়েটার ও সিনেমার জগতের কিংবদন্তী অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে গভীর ভাবে আহত হয়েছি। ২০১৫ সালে টেলি সম্মান পুরস্কার অনুষ্ঠানে ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল তাঁকে। তাঁর পরিবার, সহকর্মী ও অনুরাগীদের জানাই সমবেদনা।’
আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প কেমন চলছে, খতিয়ে দেখতে বসিরহাটে নুসরত