অঙ্কুশ হাজরার আগামী ছবিতে ইপ্সিতা মুখোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
ইপ্সিতা মুখোপাধ্যায় বললেই দর্শকের মনে পড়ে যায় ‘কেয়াপাতার নৌকো’ ধারাবাহিকে লাবণ্যময়ী ‘কিরণ’ চরিত্রকে। প্রথম ধারাবাহিক ‘সুবর্ণলতা’ থেকেই ইপ্সিতা বাঙালির অন্দরমহলে পছন্দের মুখ। তাঁকে দেখা গিয়েছে ‘এক্কাদোক্কা’, ‘ধুলোকণা’র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে।
ছোট পর্দায় পর পর সাফল্যের পর ২০২২ সালে বড় পর্দায় পা রাখেন ইপ্সিতা, ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’ ছবির হাত ধরে। মাঝে তিন বছরের বিরতি। ইপ্সিতা ফের বড় পর্দায়। এ বার তিনি অঙ্কুশ হাজরার ‘নারী চরিত্র বেজায় জটিল’ ছবিতে। প্রথম ছবির মতো এ বারেও কি নায়িকার ভূমিকায়? আনন্দবাজার ডট কমের প্রশ্নে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এ বার তিনি নায়ক অর্থাৎ অঙ্কুশের বোন। শুটিং চলছে বেশ কিছু দিন ধরে। সকলের সঙ্গে মজা করে কাজ করছেন।
অঙ্কুশের নায়িকা হতে পারলেন না! দ্বিতীয় ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে। মনখারাপ হয়নি তাঁর?
শুটিংয়ের ফাঁকেই ফোনে কথা ইপ্সিতার। সাফ বললেন, “প্রত্যেক ছবিতেই নায়িকা হতে হবে, ঈশ্বরের আশীর্বাদে এমন ভাবনা আমার মাথায় নেই। ভাল অভিনেত্রী হতে চাই। চরিত্র পছন্দ হলে ‘ঠাকুমা’ বা ‘খলনায়িকা’ হতেও আপত্তি নেই।” জানালেন, পারিবারিক ঘরানার ছবি করতে ভালবাসেন। অঙ্কুশের এই ছবি ঠিক তেমনই। প্রেম-কৌতুকের ককটেল। দর্শকের ছবিও পছন্দ হবে, তাঁর অভিনীত চরিত্রও— দাবি অভিনেত্রীর।
ইদানীং ছোট পর্দার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বড় পর্দায় কাজ করছেন। যেমন, ইপ্সিতা দুটো ছবিতে কাজ করে ফেললেন। তন্বী লাহা রায়, শ্বেতা ভট্টাচার্য, সৌমিতৃষা কুণ্ডু, শ্রীমা ভট্টাচার্য— অনেকেই ছবিতে কাজ করে ফেলেছেন। বড় আর ছোট পর্দার বিভেদ বুঝি মিলিয়ে যাচ্ছে? ইপ্সিতা যেন প্রশ্ন লুফে নিলেন। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বললেন, “সে রকমই ঘটছে। এখন আর বড়-ছোট পর্দার মধ্যে আগের মতো ছুৎমার্গ নেই। দুই পর্দার অভিনেতারাই অনায়াসে দুই মাধ্যমে কাজ করছেন। টলিউড অনেক উদার হয়েছে। এটা ভাল ইঙ্গিত।” শুধুই বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় নয়, তাঁর মতে, এই বিস্তৃতি জাতীয় স্তরেও। সেই জন্যই বাংলার বহু খ্যাতনামী এখন বলিউড বা দক্ষিণী বিনোদ দুনিয়ায় নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পাচ্ছেন। চুটিয়ে কাজ করছেন।
অন্য দিকে, বড় পর্দার অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও ছোট পর্দায় ফিরছেন। সম্ভবত স্থায়ী কাজ, উপার্জনের কারণেই। এখন ১৫ দিনে একটি ছবির শুটিং শেষ হয়ে যায়। সেখানে ছোট পর্দায় কাজ চলে বছরভর। প্রসঙ্গ তুলতেই ইপ্সিতা বললেন, “টলিউডের উদারতার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। এখন আর বড় পর্দার অভিনেতা শুধুই সেখানে আটকে নেই। চরিত্র, গল্প পছন্দ হলে সিরিজ়, ছোট পর্দাতেও অভিনয় করছেন।” তাঁর আরও বক্তব্য, এতে আখেরে উপকারই হচ্ছে। সকলে সব ধরনের কাজ করতে পারছেন। কাউকে কাজের অভাবে বসে থাকতে হচ্ছে না।