এষা দেওল এবং ভরত তখতানি। ছবি: সংগৃহীত।
সম্পর্ক ভাঙছে ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনীর বড় মেয়ে এষা দেওলের। হিরে ব্যবসায়ী ভরত তখতানির সঙ্গে ১২ বছরের দাম্পত্যে ছেদ পড়তে চলেছে। বিচ্ছেদের খবর যৌথ সিলমোহর দিয়েছেন এষা এবং তাঁর স্বামী ভরত। এই অনুরাগীরাও খানিকটা অবাক হয়েছেন। কারণ, এষার আর ভরতের সম্পর্কের ওঠানামা কখনওই তেমন প্রকাশ্যে আসেনি। বরং অনেক সাক্ষাৎকারে তাঁদের দু’জনকে একসঙ্গে দেখে যথেষ্ট সুখী দাম্পত্য যাপন করছেন বলেই মনে হয়েছে। শুধু তো তাই নয়, যখনই এষা এবং ভরত পাশাপাশি বসে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, পরস্পরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন দু’জনে। একটি সাক্ষাৎকারে এষা বলেছিলেন, ‘‘ভরতের মতো আবেগপ্রবণ মানুষ আমি কম দেখেছি।’’ এষা জীবনে আসায় তিনি কতটা খুশি সেটাও নিজের মুখেও জানিয়েছিলেন ভরত। সেই সুখী দাম্পত্যের ছবিতে এমন চিড় ধরেছে, সেটা মেনে নিতে যে কষ্ট হচ্ছে অনুরাগীদের সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছে।
২০১২ সালে এষা এবং ভরত বিয়ে করেন। তার আগে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক বহু দিনের। বিয়ের পর পরিপাটি সংসার ছিল দু’জনের। বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় তাঁদের প্রথম সন্তান রাধ্যা জন্মায়। তার দু’বছর পরে ঘরে আসে দ্বিতীয় সন্তান মীরা। দুই মেয়েকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে প়ড়েন এষা। আর তখন থেকেই নাকি একটু একটু করে ভাঙন ধরতে শুরু করে সম্পর্কে। তবে নিজেদের সম্পর্কের সমীকরণ প্রকাশ্যে আনতেন না দু’জনের কেউ। গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই সবর্ত্র একা দেখা যায় এষাকে। পাশে ছিলেন না ভরত। তখন থেকেই গুঞ্জন বিচ্ছেদের শোনা যাচ্ছিল। তবে সেটা কতটা সত্যি, তা নিয়ে একটা ধোঁয়াসা ছিল।
বছর দুয়েক আগেই এষা জানিয়েছিলেন ভরত কতটা তাঁর এবং সন্তানদের যত্ন নেন। ভরতের কাছে সব কিছুর আগে যে পরিবার, সেটাও জানান এষা। এ প্রসঙ্গে এষা বলেছিলেন, ‘‘ভরত পরিবারের সকলকে ভীষণ ভালবাসে। আগলে রাখে। ওর মতো সাংসারিক মানুষ খুব কম আছে।’’ অন্য দিকে ভরত জানিয়েছিলেন, তারকা বলে নয়, এষাকে বিয়ে করেছেন ভালবেসে। এষার খ্যাতিতে তাঁর গর্ব হয়। কিন্তু এষাকে ভালবাসার কারণ সেটা নয়।