'অপু' ফিরছে পরিচালক শুভ্রজিত মিত্রের হাত ধরে।
বড় পর্দায় ফিরছে অপু! অপু, মানে অপূর্ব কুমার রায়। নামটা শুনলেই হয়তো মনে পড়বে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মুখ। কিন্তু ষাট বছর পরে সেলুলয়েডে ফেরা অপুর চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তীকে। অপু ফিরছেন তাঁর ছয় বছরের ছেলে কাজলের হাত ধরে। ছবির নাম অভিযাত্রিক। পরিচালনা করেছেন শুভ্রজিত মিত্র।
কিন্তু হঠাৎ ‘অপু’-র মতো স্পর্শকাতর, নস্টালজিক একটি চরিত্র নিয়ে কাজ করার কথা মাথায় এল কেন? আনন্দবাজার ডিজিটালের এই প্রশ্নে পরিচালক বললেন, “আমরা প্রায় প্রত্যেকেই অপু ট্রিলজি দেখেছি।অপরাজিত উপন্যাসটা পুরো পড়লে দেখা যাবে এক তৃতীয়াংশ সিনেমাতে দেখানো হয়নি। মাঝে ষাটটা বছর চলে গেছে। কিন্তু কাউকেই আর সেই না বলা গল্পটা বলতে শোনা যায়নি।” শুভ্রজিতের বক্তব্য, ‘‘সিনেমার ছাত্র বা দর্শক হিসেবে অপুর জার্নি সব সময়ে ফ্যাসিনেট করেছে আমাকে।‘অপরাজিত’ উপন্যাসের ৬০ শতাংশ নিয়ে দু’টো ছবি হয়েছে। কিন্তু অপুর ছেলে অর্থাত্ কাজলের সঙ্গে জার্নিটা বাকি। এটা আমাকে ভাবাত। অপরাজিত উপন্যাসের শেষ ৪০ শতাংশ নিয়ে আমার ছবি।’’
নিজের ছোটবেলাটাই যেন ফিরে পাচ্ছেন কাজলের মধ্যে দিয়ে। শুভ্রজিতের জন্য ‘গায়ে কাঁটা দেওয়া’ মুহূর্ত। তিনি মনে করেন, কোনও উপন্যাসকে যখন চিত্ররূপ দেওয়া হয় তখন সেই লেখকের একটি অথবা দু’টি নয়, প্রায় সমগ্র সৃষ্টিকার্যের সম্বন্ধেই অবগত হতে হয়। তাঁকে জানার জন্য, তাঁর লেখনীকে বোঝার জন্য। কথায় কথায় জানালেন, যেহেতু ছবিটির প্রেক্ষাপট ১৯৫০ নাগাদ তাই ‘প্রোডাকশন ডিজাইন’-এর উপর বিস্তর গবেষণা করতে হয়েছে তাঁকে। সে সময়কার শব্দচয়ন, বাচনভঙ্গি এখনকার থেকে অনেকটাই আলাদা। পড়াশোনা করতে হয়েছে সে সব নিয়েও।
আরও পড়ুন- ‘আগন্তুক’-এর পরের ছবিতে ঋদ্ধি সেন থাকছে: ইন্দ্রদীপ
আরও পড়ুন- মোদীর পরে এবার বাজপেয়ীর বায়োপিক!
হঠাৎ সাদা-কালোতে পুরো ছবিটি বানানোর কথা ভাবলেন কেন? এই ডিজিটালের যুগে এ রকম একটা কনসেপ্ট দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে? পরিচালক জানালেন, আন্তর্জাতিক স্তরে গিয়ে দেখলে এখনও অনেক ছবি সাদা-কালোতে শুট করা হচ্ছে। আর ‘অভিযাত্রিক’-এর আবেদন আন্তর্জাতিক মানের। প্রস্তুতি চলছে ভালভাবেই।