রিনা দত্ত ও আমির খান। ছবি: সংগৃহীত।
নাম তার আমির, কিন্তু বিয়ে করার সময় সেই ‘আমিরি’ দেখানোর ক্ষমতাই ছিল না। লোক-লস্কর, হাতি-ঘোড়া নিয়ে নয়, ২১১ নম্বর বাসে চড়ে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন বলিউডের ‘পারফেকশনিস্ট’ আমির খান।
একুশ শতকে এসে যখন বিবাহ একটি বিরাট জাঁকজমকের অনুষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন এমন খবর চমকে দেয় বইকি! মাস কয়েক আগে জাঁকজমক করেই বিয়ে হয়েছে আমির-কন্যা ইরার। তবে সেখানে বাহুল্য ছিল না। কিন্তু ইরার বাবা-মা কেমন করে বিয়ে করেছিলেন?
এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এ কথা জানিয়েছেন নায়ক। তাঁর কথায়, “তিন জন সাক্ষী নিয়ে রিনাকে লুকিয়ে বিয়ে করেছিলাম আইনি মতে। একেবারে সস্তায় সারা হয়ে গিয়েছিল আমাদের বিয়ে। ২১১ নম্বর বাসে উঠে বান্দ্রা স্টেশন পশ্চিমে নেমেছিলাম। ৫০ পয়সা টিকিট। তার পর সেতু পার হয়ে পূর্ব দিকে গেলাম, বড় রাস্তা পেরোলাম আর গৃহনির্মাণ ভবনে ঢুকে পড়লাম। ওখানেই বিবাহ নিবন্ধীকরণের কার্যালয় ছিল।”
আমির খান ও রিনা দত্ত। ছবি: সংগৃহীত
আমির খান তখনও বলিউডে পা রাখেননি। বয়স ২১ হয়নি। সেই সময়ই তিনি ভালবেসেছিলেন ১৯ বছরের রিনা দত্তকে। ১৯৯৯ সালে সিমি গারেওয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমির জানিয়েছিলেন, রিনার মন পেতে এক সময় তিনি রক্ত দিয়ে চিঠিও লিখেছিলেন। কিন্তু পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেবে না বুঝে তাঁরা নিজেরাই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময় আমিরের ২১ বছর বয়স হয়নি। তাই বেশ কিছু মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন আমির। অভিনেতা বলেছেন, “পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত কোনও ভাবে অশ্রদ্ধা বা বিপ্লব দেখানোর জন্য ছিল না। বরং আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম।”এ সব ঘটনা ১৯৮৬ সালের। সেই বছর ১৮ এপ্রিল আমির-রিনা বিয়ে করেন। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পায় ‘কয়ামত সে কয়ামত তক’। প্রায় ১৬ বছরের দাম্পত্য শেষ হয় ২০০২ সালে। আমির-রিনার দুই সন্তান জুনেইদ ও ইরা।