জয়া আহসান, নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
কেবল ছবি বানিয়েই দায় সারেননি তারকা পরিচালকজুটি নন্দিতা রায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ২০১৯-এ ‘কণ্ঠ’ মুক্তি পাওয়ার পর কথা দিয়েছিলেন, যাঁরা ল্যারিংক্স বা স্বরযন্ত্র হারিয়েছেন তাঁদের জন্য তৈরি করবেন ‘কণ্ঠ ক্লাব’। যেখানে এই সমস্যায় ভুক্তভোগীরা নিজেদের মেলে ধরতে পারবেন। ঠিক চিকিৎসার দিশা পাবেন। পাশে পাবেন স্পিচ থেরাপিস্টদের। জীবনকে বদলে নিতে পারবেন নতুন ভাবে। মত বিনিময় করতে পারবেন ভুক্তভোগীর পরিবারের মানুষেরা।
ওই বছরের ২৮ মে প্রথম ক্লাব খুলেছে শহর কলকাতায়। এ বার তাতে নতুন সংযোজন কর্নাটক। ১৪ ডিসেম্বর, সোমবার কর্নাটক সরকারের উদ্যোগে চালু হতে চলেছে সর্বভারতীয় ল্যারিঞ্জেকটমি ক্লাব। যার নাম ‘কণ্ঠ ক্লাব’। শিবপ্রসাদের কথায়, ‘‘এ বার সর্বভারতীয় স্তরে পৌঁছে গেল আমাদের প্রচেষ্টা। নিঃসন্দেহে এই উদ্যোগ আরও এক বার সম্মান জানাল আমাদের। আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞ বাংলার দর্শকদের কাছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘অন্যান্য বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষদের ক্লাব থাকলেও এতদিন দেশে ল্যারিঞ্জেকটমি ক্লাব ছিল না। এ বার সেটিও হচ্ছে।’’
পরিচালক ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি কর্নাটক সরকারকেও। অঙ্গীকার, ভারতের সমস্ত প্রদেশে যাতে এই ক্লাব ছড়িয়ে পড়ে তার আন্তরিক চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তাঁরা। আর কী কী আয়োজন থাকবে এই ক্লাবে? আলোচনা, আড্ডা, বিশেষ মানুষদের জন্য তৈরি গেম— সব কিছুই এক ছাদের নীচে মিলবে। যা পূর্ণতা এনে দেবে তাঁদের জীবনে, দাবি পরিচালকের। ক্লাবের পাশাপাশি পরিচালকজুটির এই ছবি ভারত সরকারের থেকে আদায় করে নিয়েছে এই সমস্যায় জর্জরিত মানুষদের বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বা ‘প্রতিবন্ধী’র সরকারি শিলমোহর। যা এত দিন তাঁরা পেতেন না। আগামী দিনে স্বরযন্ত্রহারা মানুষও পাবেন এই বিশেষ গোষ্ঠীর সমস্ত সুবিধা।
আরও পড়ুন: করোনায় অভিনয় ছেড়ে নার্সিং, স্ট্রোকে আক্রান্ত শিখা এখন হাসপাতালে
১৪ ডিসেম্বর ভার্চুয়ালি ঘোষিত হবে এই উদ্যোগের কথা। অনলাইনে উপস্থিত থাকবেন নন্দিতা-শিবপ্রসাদ, নারায়ণ হৃদালয় হাসপাতালের (কলকাতা) মাথা ও ঘাড়ের চিকিৎসার বিভাগীয় প্রধান সার্জেন সৌরভ দত্ত এবং কর্নাটক সরকারের প্রতিবন্ধী বিভাগের প্রধান ভি এস বাসবরাজু।
আরও পড়ুন: ব্লকবাস্টার ছবিতে পার্শ্বচরিত্র, ডিভোর্সি প্রেমিকার সঙ্গে লুকিয়ে বিয়ে, পরমীতের জীবন বরাবরই ফিল্মি