অজগর হাতে সোহম। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
ভোরের আলো ফুটেছে। উত্তরবঙ্গের হোটেলে একে একে ঘুম ভাঙছে সবার। হঠাৎ নীচ থেকে ভেসে এল চিৎকার। হোটেলকর্মী এবং ইউনিটের সদস্যদের জটলার আওয়াজ শুনে তত ক্ষণে ঘুম ছুটেছে দেব, বিশ্বনাথ বসু এবং সোহম চক্রবর্তীদের। হুড়মুড় করে হোটেলের নীচে নামতেই থমকে দাঁড়ালেন সবাই। এক হোটেলকর্মীর হাতে বিশাল একটা অজগর! কখন যেন ঢুকে পড়েছে হোটেল চত্বরে।
এই মুহূর্তে ‘প্রধান’ ছবির শুটিং চলছে উত্তরবঙ্গে। বৃহস্পতিবার সকাল সকাল সেখানেই এক মারাত্মক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন অভিনেতারা। হোটেলের নীচ থেকে উদ্ধার হল এক বিশালকায় অজগর। ছবিতে দেব ছাড়াও টলিপাড়ার বহু অভিনেতা রয়েছেন। প্রকাণ্ড ইন্ডিয়ান রক পাইথনটির একটি ছবি-সহ সমাজমাধ্যমে তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন বিশ্বনাথ বসু। সকাল সাড় ছ’টা নাগাদ ইউনিটের সদস্যদের চিৎকারে সকলে নীচে এসে দেখেন, অজগরটিকে ধরা হয়েছে। বিশ্বনাথ বলেছেন, ‘‘যা দেখলাম, সেটা শুধু চিড়িয়াখানা বা টিভির পর্দায় দেখা যায়।’’ অনেকেই অভিনেতাকে সাপটির সঙ্গে ছবি তুলতে অনুরোধ করেন। কিন্তু বিশ্বনাথ জানান, তাঁর সাহসে কুলোয়নি। সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ ফুট। বিশ্বনাথ মজা করে দেব প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘দূরে ‘চাঁদের পাহাড়’-এর শঙ্কর নির্ভয়।’’
শুধু দেব নন, ভয় পাওয়ার পাত্র নন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীও। তিনি কিন্তু অজগরটিকে হাতে নিয়ে ছবি তুলেছেন। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে সোহম লেখেন, ‘‘সুপ্রভাত। আজকের সকালের প্রধান আকর্ষণ!’’ সূত্রের খবর, অজগরটিকে সাবধানে ধরা হয়েছে। বনদফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করে সাপটিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে । অন্য দিকে, শুটিং ফ্লোরে অজগরের আগমনে ইউনিটের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।