ছবির দৃশ্যে ঋতুপর্ণা, শুভ।
‘আহা রে’ মানে কী?
আরিফিন শুভ: ‘আহা রে’ দুটো মানুষ। দুটো দেশ। একটা সরস্বতী পুজো। প্রেম। বন্ধুত্ব। ম্যাজিক...
ঋতুপর্ণা: আমাদের জীবনে খাবারের ইতিহাসের একটা গুরুত্ব আছে। এই গুরুত্ব উপলব্ধি করতে করতে একটা জার্নির মধ্যে দর্শকেরা চলে যাবেন। জীবন নতুন করে আসবে এই ছবিতে।
ছবির নায়িকা ‘বসুন্ধরা’, এই নামের মধ্যে কোনও...
আরিফিন শুভ: আমি বলব এটা। আমি বসুন্ধরাতেই থাকি!
মানে?
আরিফিন শুভ: ঢাকায় যে জায়গায় থাকি তার নাম বসুন্ধরা। এ বার বলুন তো, এই বসুন্ধরাকে ছেড়ে কি থাকা যায়?
(দু’জনের প্রচণ্ড হাসি)
আপনি কলকাতায় এলে হলদে ট্যাক্সি চড়তে ভালবাসেন। হলদে টি শার্ট পরে আছেন। এই প্রেমভাবে বসন্ত কি পাশের নায়িকার জন্য?
আরিফিন শুভ: ছবির রাজা তো বসুন্ধরার জন্য ঘুরেই যাচ্ছে। বসুন্ধরা তো ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’।
ঋতুপর্ণা: বসুন্ধরার ভেতরের নরম মনটাকে তুমি খুঁজেছ?
আরিফিন শুভ: আমি তো সেই দিকেই চেয়ে আছি। (ঋতুপর্ণার দিকে তাকিয়ে)
আরও পড়ুন, নেটফ্লিক্স বা ইউটিউবে সিনেমা আপলোড করলে আটকাতে পারবেন তো? প্রশ্ন অনীকের
নায়িকার দিকে চাইতে চাইতেই বলুন তো, কী পেলেন এই ছবি থেকে?
আরিফিন শুভ: (ঋতুপর্ণার দিকে ঘুরে) কী দিয়েছো বল তো তুমি আমায়?
ঋতুপর্ণা: আমিও শুনতে চাই, কী পেলে তুমি আমার কাছে?
আরিফিন শুভ: নাহ্, এ বার সিরিয়াসলি বলি। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর জন্যই আমার এই প্ল্যাটফর্ম। ও রঞ্জনকে বলে আমায় কাস্ট করতে। ঋতুর সঙ্গে আগেও ছবিতে কাজ করেছি। এ ছবি করতে করতে বন্ধুত্ব গাঢ় হল। আর পেলাম রঞ্জনদার মতো পরিচালক। সোহাগ সেনের সান্নিধ্যে অভিনয়চর্চা সমৃদ্ধ হল। আমাদের ডিওপি (ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফি) হরিনায়ার। এক জন মানুষ হিসেবে দেখেছি এত গুণী মানুষ অথচ মুখে কোনও কথা নেই। রঞ্জনের কাছ থেকে পরিমিতিবোধ শিখেছি। আর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর কাছে শিখেছি স্পিড। ও রকেট লঞ্চার। এত বছর পরে এত কাজের এনার্জি! আমার এই ছোট্ট কেরিয়ারে আমার মনে হয়, ধুর ভাল লাগছে না। সেটা জানি ভুল, তা-ও মনে হয়। কিন্তু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে দেখছি বাটন অন...ছুটছেন। জানতে চাই, কোন চাল খাও? ম্যাজিক পিলটার নাম বলো না...কিছুতেই বলে না কিন্তু!
আপনি বাংলাদেশের কমার্শিয়াল সুপারস্টার। এখন মনে হয় কি স্টার নয়, ছবির গল্প আসল?
আরিফিন শুভ: সারা পৃথিবীতেই তাই হচ্ছে এখন। টম ক্রুজকেই দেখুন, কনভেনশনাল সুপারস্টার হয়ে কাজের ধারা বদলাচ্ছেন। তবে আমি সুপারস্টার ভাবি না।
ঋতুপর্ণা: ‘বাধাই হো’, ‘অন্ধা ধুন’-এর মতো ছবির বাজার এখন।
আরিফিন শুভ: ‘আহা রে’ কিন্তু গল্পের ছবি। আমি খুব বিশ্বাসের সঙ্গে বলছি কথাটা। যার হৃদয় আছে, অনুভূতি আছে, তাঁরা ‘আহা রে’ দেখবেন। এটা এ রকম ছবি নয় যে ছবি চলছে...চলুক, একটু পপকর্ন খেয়ে আসি। এই ছবিতে এলিমেন্ট আছে। একটা গল্প সুন্দর করে বলা হচ্ছে। যার মনে একটু প্রেম আছে সে বুঝবে ছবিটা।
ছবির দৃশ্যে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
ভার্চুয়াল জগতে প্রেম থাকে?
আরিফিন শুভ: কী বলবে প্রেম নিয়ে?
ঋতুপর্ণা: প্রেম তো থাকেই। এখন আমরা প্রেমকে কৃত্রিম ভাবে পাই। এত মোশনের মধ্যে প্রেমটাও মোশনে থাকে। আমরা বলি, শুধু প্রেমের কথা ভাবার সময় কি আজকে মানুষের আছে? কিন্তু প্রেমে পড়লে মানুষ স্পেস চায়। একা থাকতে চায়। ‘আহা রে’-তে এই জায়গাটা ধরা আছে। প্রচন্ড স্পিড নেই ছবিতে। প্রেমের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা। আমি যখন ‘আলো’ করেছিলাম তখনও ছবিতে মেয়েটা বলেছিল, ভালবাসার জন্য সে গ্রামে সব ছেড়ে যাবে। শেয়ারিং বিষয়টা আজ ধাক্কা খাচ্ছে। এই ফান্ডামেন্টাল জায়গাটা গুরুত্বপূর্ণ। ভাইয়ের সঙ্গে, দাদার সঙ্গে, বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্কগুলো বেরিয়ে আসছে। শুভ-র সঙ্গে বাবা-মায়ের দুর্দান্ত দৃশ্য আছে। মানুষকে ভাবাবে সেই জায়গাটা। এটা কিন্তু প্রথম আনন্দবাজার ডিজিটালকেই বললাম। এখন সম্পর্ক দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই ছবি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের কথা বলবে।
আরও পড়ুন, হনিমুনের ছবি শেয়ার করলেন রজনীকান্ত কন্যা, হলেন ট্রোলডও
আপনার নায়ককে নিয়ে কিছু বলুন...
ঋতুপর্ণা: শুভর ব্যক্তিত্ব খুব আকর্ষণীয়। ওর মধ্যে নীরবতা আছে। সেটা এই ছবির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ও সেটে প্রচুর গান শোনাত।
আরিফিন শুভ: মাকে ফোন করে বলি, তোমার ছেলেকেও কেউ প্রশংসা করে। (হাসি) শুনুন, আমি শুধু গানই গাইতাম না, লেগ পুলও করতাম, সেটা বলছে না দেখুন!
ঋতুপর্ণা: নাহ্ বলব না। তবে আর একটা এক্সক্লুসিভ তথ্য দিই, শুভ দারুণ গান গেয়েছে এই ছবিতে। এটা কেউ জানে না।
আপনি কী গান করেন?
আরিফিন শুভ: চাইনিজ ফোক!
ঋতুপর্ণা: ধ্যাত্! বাজে কথা। এই ছবিতে ছোটবেলা আছে। বাবার কাছে বকুনি...
বাঙালি আহার আর আবেগ এ ছবিতে একাকার...
(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)