২০১০ সালে ‘বীর’ ছবির মধ্যে দিয়ে অভিনেত্রী জারিন খানকে ইন্ডাস্ট্রিতে এনেছিলেন সলমন খান। সলমন খানের উপস্থিতিও ছবিটিতে বক্স অফিসে সফল করতে পারেনি। প্রথম ছবি ব্যর্থ হওয়ার পরে জারিনের বলিউড-যাত্রাও মুখ থুবড়ে পড়ে।
অভিনয়জীবনের প্রথম দিন থেকেই জারিনকে তুলনা করা হত ক্যাটরিনা কইফের সঙ্গে। ক্যাটরিনাকেও ইন্ডাস্ট্রিতে এনেছিলেন সলমন। কিন্তু জারিনের তুলনায় তাঁর বলিউড অভিযান বিপরীত মেরুর। ওঠাপড়া থাকলেও টিনসেল টাউনে ক্যাট প্রথম সারির নায়িকা।
চেহারার দিক থেকেও ক্যাটরিনা এবং জারিনের মধ্যে সাদৃশ্য খুঁজে পান দর্শকরা। প্রথম দিকে অনেকেই ভেবেছিলেন ক্যাটরিনার জায়গা হয়তো নিয়ে নেবেন জারিন। কিন্তু সেই সম্ভাবনাকে ভুল প্রমাণিত করে বক্স অফিস।
‘বীর’-এর পরে জারিন অভিনয় করেন ‘রেডি’ এবং ‘হাউসফুল টু’ ছবিতে। বড় ব্যানারের ছবিতে ছোট চরিত্র হলেও জারিনের কেরিয়ারে পালে বাতাস লাগেনি।
ব্যর্থ হলেও জারিনের কাছে সুযোগের অভাব হয়নি। ‘হেট স্টোরি থ্রি’, ‘অকসর টু’, ‘১৯২১’-সহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। কিন্তু নায়িকা হিসেবে তাঁর পরিচিতি থেকে যায় কিছুটা মলিনই।
ক্রমে হিন্দি ছবিতে সুযোগ কমতে থাকায় জারিন কাজ করেন টেলিভিশন এবং মিউজিক ভিডিয়োতেও। তার পরেও ছবিতে অভিনয়ের ইচ্ছে হারিয়ে যায়নি।
হিন্দির পাশাপাশি তিনি কাজ করেন তামিল, তেলুগু এবং পঞ্জাবি ছবিতেও। কিন্তু প্রত্যাশিত জনপ্রিয়তা অধরাই থেকে গিয়েছে।
কেন ব্যর্থ হতে হল জারিনকে? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যর্থতার জন্য তিনি দায়ী করেছেন ক্যাটরিনা কইফকে।
ক্যাটরিনার সঙ্গে প্রথম দিন থেকে তুলনা হওয়ার ফলেই তাঁর কেরিয়ার এগোয়নি বলে অভিযোগ জারিনের।
জারিনের অনেক আগে থেকেই ক্যাটরিনা অভিনয় করছেন বলিউডে। তার পর তাঁর মতো দেখতে কোনও নায়িকাকে মানতে চাননি দর্শকরা। তাই পরিচালক প্রযোজকরাও মুখ ফিরিয়ে ছিলেন তাঁর থেকে। অন্তত সে রকমই ধারণা জারিনের।
প্রতিভা এবং চেষ্টা থাকার পরেও ক্যাটরিনার সঙ্গে ক্রমাগত তুলনা তাঁকে সুযোগ থেকে ক্রমশ দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আক্ষেপ জারিনের।
জারিনের শেষ হিন্দি ছবি ‘১৯২১’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৮ সালে। তার পর আঞ্চলিক ছবিতে অভিনয় করলেও ফিরে আসতে পারেননি বলিউডের মূলস্রোতে।