সংগৃহীত চিত্র।
শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (জিপিএফ) অনলাইন হচ্ছে। নয়া প্রক্রিয়ায় কী ভাবে কাজ হবে, তা নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিল রাজ্য অর্থ দফতর।
মূলত এখানে তিনটি বিষয়ের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথমটি হল, কী ভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ঋণের আবেদন করতে পারবেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। চাকরি জীবনে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা জিপিএফ-এর মাধ্যমে যে অর্থ জমা করেন, তার ভিত্তিতে তাঁরা চাইলে পরে প্রয়োজনে ঋণের আবেদন করতে পারবেন। প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা দুই প্রকার ঋণ নিজের জমা অর্থ থেকে নিতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, অবসরের আগে জমা অর্থ কী ভাবে তাঁরা এই নয়া পদ্ধতির মাধ্যমে তুলতে পারবেন। আর তৃতীয়ত, অবসরের পরে জিপিএফ-এর টাকা কী ভাবে পাওয়া যাবে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন , “বহু দিন ধরে আমরা তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা দফতরের কাছে তদারকি করছিলাম, যাতে শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের জিপিএফ ব্যবস্থা অনলাইনে করা যায়। গত কয়েক মাস ধরে কাজ চলছিল। এ বার অর্থ দফতর নির্দেশ দেওয়ায় সেই কাজ ত্বরাণ্বিত হল। আশাকরি খুব শীঘ্রই এই ব্যবস্থার সুযোগ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা পাবেন। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করছি, দ্রুত ই-সার্ভিস বুক চালুর ব্যবস্থা করা হোক।”
ইতিমধ্যেই অনলাইন জিপিএফ-এর সমস্ত ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ করা হয়েছে। জিপিএফ-সংক্রান্ত যে কোনও প্রক্রিয়া করতে গেলে প্রথমে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অনলাইন বা অফলাইন মাধ্যমে দরখাস্ত করতে হবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীকে। সেই দরখাস্ত নিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে ইন্টিগ্রেটেড ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম মডিউল তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলে ডিআইদের কাছে তা পাঠাতে হবে। ডিআই তাতে অনুমোদন দিয়ে পাঠাবেন ডাইরেক্টরেট পেনশন প্রভিডেন্ট ফান্ড গ্র্যাচুইটি অথরিটি (ডিপিপিজি)-র কাছে। সেখান থেকে অনুমোদন এলে অর্থ সরাসরি শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে।
শিক্ষক মহলের একটি বড় অংশ মনে করছেন, অনলাইন জিপিএফ সিস্টেম চালু হওয়ার ফলে আবেদনের ক্ষেত্রে যে জটিলতা এবং টাকা পেতে যে সময় লাগত, তার অবসান ঘটবে। শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীরা নিজেদের সঞ্চিত অর্থ প্রয়োজনে দ্রুত হাতে পাবেন।