জোটের পথ সহজ করতে কথা দীপা-সেলিমের

উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে ভোটে দাঁড়িয়েছেন বামফ্রন্ট সমর্থিত জেডিইউ-এর প্রার্থী মহম্মদ আরশাদ। সেখানেই আবার দলের প্রতীকে ভোটে দাঁড়িয়ে পড়েছেন ইসলামপুরের পুরপ্রধান কংগ্রেসের কানহাইয়ালাল অগ্রবাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর ও রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৬ ০২:১৮
Share:

প্রচারে দীপা দাশমুন্সি, (ডান দিকে) কর্মিসভায় সেলিম।—নিজস্ব চিত্র

উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে ভোটে দাঁড়িয়েছেন বামফ্রন্ট সমর্থিত জেডিইউ-এর প্রার্থী মহম্মদ আরশাদ। সেখানেই আবার দলের প্রতীকে ভোটে দাঁড়িয়ে পড়েছেন ইসলামপুরের পুরপ্রধান কংগ্রেসের কানহাইয়ালাল অগ্রবাল। সিপিএমের নিচুতলার কর্মীদের বড় অংশ কিন্তু চান এখানে কানহাইয়ালালকেই সমর্থন করতে।

Advertisement

বুধবার সেখানেই প্রচারে গিয়েছিলেন সিপিএমের মহম্মদ সেলিম। এই এলাকায় ডিওয়াইএফ-এর কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রার্থী নিয়ে বেশ ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় এলাকার সাংসদ মহম্মদ সেলিমকে। অনেকে বৈঠকের মাঝেই উঠে দাবি করতে থাকেন, বেশিরভাগ কর্মীই চান কংগ্রেসের প্রার্থীর পক্ষেই প্রচার করতে। তাতেই ভাল লড়াই দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন সিংহভাগ বাম কর্মী। কিন্তু তাঁদের বাধ্য হয়েই জেডিইউ-এর প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে হচ্ছে।

এদিন কংগ্রেসের কর্মিসভাতেও সিপিএমের সঙ্গে জোটের বার্তাই বারবার উঠে আসে। এমনকী, দীপারও দাবি, এলাকার অনেক সিপিএম কর্মী ও নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। শুধু তাই নয়, এ দিন মঞ্চে সিপিএম-এর পতাকাও লক্ষ করা যায়।

Advertisement

তবে উল্টো সুরও শোনা গিয়েছে। এলাকার কিছু বাম নেতার বক্তব্য, জোটের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন মহম্মদ আরশাদই। কানাহাইয়ালাল পরে কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে প়ড়েছেন। তিনি এখন প্রচারে নিজেকে বামফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থী বলেও প্রচার করছেন। লাল পতাকাও তিনি অন্যায় ভাবে ব্যবহার করছেন বলে এই বাম নেতাদের দাবি।

সেলিম গাইশালে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন শুনে সেখানে চলে যান ভবানীপুরে জোটের প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি। দু’জনের মধ্যে কিছু ক্ষণ কথা হয়। সেলিমও বলেন, ‘‘আমি দীপাকে বলেছি, কংগ্রেস প্রার্থী কেন নিজেকে বাম সমর্থিত বলে দাবি করছেন। দীপা শুনে বলেন, বিষয়টা তিনি দেখছেন।’’ সেলিমের বক্তব্য, ‘‘এই কেন্দ্রে যাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত জোটের এক জন প্রার্থীই থাকেন, তার জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’’

তবে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, ‘‘ইসলামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বামফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হচ্ছে। ইসলামপুর কেন্দ্রটি আমরা বামেদেরকে ছাড়তে বলেছিলাম। কিন্তু বামেরা তা ছাড়েনি। তাই দল সেখানে বাধ্য হয়ে প্রার্থী দিয়েছে।’’ জেলা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পালের পাল্টা দাবি, ‘‘ইসলামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বামফ্রন্ট প্রার্থী দেবে তা আগেই কংগ্রেসের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। তারপরেও সেখানে কংগ্রেসের প্রার্থী দেওয়াটা হতাশাজনক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement