নন্দীগ্রাম নিয়ে চরম বিভ্রান্তি। ১৭ রাউন্ড ভোটগণনার পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে জয়ী হয়েছেন বলে খবর আসছিল। কিন্তু সন্ধ্যা গড়াতে মমতার জয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বলা হয়, সার্ভারে সমস্যার জেরে সঠিক ভাবে কিছু জানা যাচ্ছে না। তার পরেই ১৬২২ ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর জয়ের খবর আসে। এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে আনন্দবার ডিজিটালকে ফোনে তিনি বলেন, ‘‘১৬২২ ভোটে জিতেছি আমি।’’ যদিও পোস্টাল ব্যালট ছাড়া মমতার সঙ্গে শুভেন্দুর জয়ের ব্যবধান ৯৭৮৭ ভোটের। তার পর সাংবাদিক বৈঠকে নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছেন বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম যা রায় দেব, মাথা পেতে নেব।’’ এর কিছু পরে টুইট করে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, নন্দীগ্রামে গণনা এখনও চলছে। কোনও রকম জল্পনায় কান না দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করা হয় ওই টুইটে।
তবে নিজের হারলেও দলের জয়ের জন্য বাংলার মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘বাংলার জয়ের জন্য সকলকে অভিনন্দন। বাংলার জয়, মানুষের জয়। বাংলা আজ ভারতকে বাঁচিয়েছে।’’ নন্দীগ্রামের মানুষ যা করেছেন, ভাল করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। একই সঙ্গে ফলাফল নিয়ে এই বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমার কাছে অভিযোগ রয়েছে, রায় ঘোষণার পর কারচুপি হয়েছে।’’
এর আগে যদিও সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছিল, ১২০২ ভোটে নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন মমতা। সার্ভারের ত্রুটির জেরে দুপুরে এমনিতেই চল্লিশ মিনিট ভোটগণনা বন্ধ ছিল সেখানে। তার পর মমতার জয়ের খবর সামনে আসার পরও কোনও তথ্য প্রকাশ করতে পারেনি না কমিশন। তার পরেই জানা যায়, শুভেন্দু জয়ী হয়েছেন। তবে কমিশনের তরফে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।