বৈদ্যবাটিতে বৈঠকে তিন দলের নেতারা। নিজস্ব চিত্র।
অবশেষে দক্ষিণবঙ্গের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হল বাম-কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এরমধ্যে। শনিবার রাতে হুগলি জেলার বৈদ্যবাটিতে বৈঠকে বসেন তিন দলের নেতারা। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে একযোগে এ কথা জানিয়েছেন তিন পক্ষের নেতৃত্ব।
সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ও আইএসএফের চেয়ারম্যান নৌসাদ সিদ্দিকি ওই বৈঠকে ছিলেন। আসন রফা নিয়ে নৌসাদ বলেন, ‘‘আমরা আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের তালিকা নিয়ে আলোচনায় বসেছিলাম। দক্ষিণবঙ্গের আসন নিয়ে আলোচনা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। আর কিছুটা বাকি। উত্তরবঙ্গ নিয়েও বিবেচনা করতে অনুরোধ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আগামী দিনে বাংলাকে এই জোট পথ দেখাবে। ৪৪, ৯৭, ২৯৪ আসনের কথা বলেছিলাম সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে। এখন আলোচনা চলছে। বৃহত্তর স্বার্থে আসন ৪৪-এর নীচেও নামতে পারে, আবার ৪৫-এর উপরেও হতে পারে।"
সূত্রের খবর, বৈঠকে দক্ষিণবঙ্গের ৮০ শতাংশ আসনের রফা চূড়ান্ত হয়ে গেলেও, উত্তরবঙ্গে আইএসএফের বেশ কিছু আসনের দাবি মানতে চায়নি কংগ্রেস। তাই সিপিএমকেই উত্তরবঙ্গে কিছু বাড়তি আসন ছাড়ার দাবি করেছে আইএসএফ। বিষয়টি নিয়ে ফের বৈঠকে বসার কথা বলেছে বাম ও কংগ্রেস। বৈঠকে রাজি হয়েছে আইএসএফ। মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। আইএসএফ এই প্রথম সমঝোতায় এল। আমাদের দু’পক্ষের জোটের ফর্মুলা মেনেই তৃতীয় পক্ষকে যুক্ত করা হয়েছে। আরও কিছু দল আছে, যাদের আমাদের আসন ছাড়তে হবে। আজ দক্ষিণবঙ্গের বিষয়গুলো স্পষ্ট করে নিলাম। পরে তিন দলের শীর্ষ নেতারা সাংবাদিক সম্মেলন করে এ বিষয়ে জানিয়ে দেবেন। সব কিছুই ইতিবাচক হয়েছে।’’
আগামী দু’-এক দিনের মধ্যে ফের বৈঠকে বসে জোটকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে জানিয়েছেন সব পক্ষের নেতারা। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা প্রদীপ বলেন, ‘‘আমরা ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় কখনও বসিনি। এই প্রথম বসলাম। আরও আলোচনা করতে হবে। এমনটা ভাবলে চলবে না যে, আজ করলাম কালই সব হয়ে যাবে। বা কাল বললাম পরশুই সব হয়ে যাবে। কারণ ২৯৪টি মাত্র আসন, আসন তো আর বাড়ানো যাবে না। ধরে ধরে আলোচনা করে দলের পরিস্থিতি কী তা জানতে হয়।’’
২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের সভায় আব্বাসের দল উপস্থিত থাকবে কি না,সে বিষয়ে নৌসাদ বলেন, ‘‘আসন ভাগ নিয়ে আলোচনা চলছে। দু’-এক দিনের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যাবে। তখন জানিয়ে দেওয়া যাবে ব্রিগেডে কারা থাকবে।’’