কোভিড পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠকের জন্যই এই সিদ্ধান্ত, জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার বাংলায় ভোটের প্রচারে আসছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ টুইট করে মোদী নিজেই তা জানিয়েছেন।
টুইটে মোদী লিখেছেন, শুক্রবার কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে তিনি একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। সে কারণেই তিনি বাংলায় আসতে পারছেন না। সংক্ষিপ্ত টুইটে অবশ্য মোদী ভোটের প্রচার ইত্যাদি উল্লেখ করেননি। প্রসঙ্গত, বাংলার ভোটে যুযুধান সমস্ত পক্ষই করোনা সংক্রমণের জন্য প্রচারে কাটছাঁট করেছে। সিপিএম যা প্রথম শুরু করেছিল। তার পর সেই পথে হেঁটেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার আগে বাংলায় সফর বাতিল করেছিলেন কংগ্রেসের নেতা রাহুল গাঁধীও।
এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং অমিত শাহ তাঁদের প্রচারসূচি সংক্ষিপ্ত না করায় বারবার বিজেপি-কে রাজনৈতিক আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছিল। মোদীর সফর বাতিল হওয়ায় সেই সমালোচকরা এ-ও বলার সুযোগ পাবেন যে, পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী বাংলায় প্রচারের দিনক্ষণ আগে সংক্ষিপ্ত করেননি বা বাতিল করেননি। পক্ষান্তরে, বিজেপি বলতে পারবে, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদী একটি নির্দিষ্ট রাজ্যের চেয়ে সারা দেশকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
প্রত্যাশিত ভাবেই বিজেপি শিবির থেকে এ বার প্রশ্ন তোলা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটপ্রচার নিয়ে। নরেন্দ্র মোদীর বাংলা সফর বাতিল ঘোষণার পরই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ টুইটে লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সর্বভারতীয় সভাপতি প্রচার কর্মসূচি কাটছাঁট করেছেন। কী ভাবে এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোভিড বিধি না মেনে ভোট প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন’?