নন্দীগ্রাম আসনে পুনর্গণনা চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
নন্দীগ্রাম আসনে পুনর্গণনা চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার রাতে তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল যায় কলকাতার নির্বাচন কমিশন দফতরে। সেখানে গিয়ে তাঁরা একটি প্রতিবাদপত্র দিয়ে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে পুনর্গণনার দাবি জানান। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সদ্য জয়ী কাশীপুর বেলগাছিয়ার বিধায়ক অতীন ঘোষ। তাঁরা প্রত্যেকেই বেশ কিছু যুক্তি দেখিয়ে নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, মূলত ৭টি বিষয়ের কথা উল্লেখ করে পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রথমত, বার বার গণনাপর্ব ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ইভিএমের ভোটের ক্ষেত্রে কারচুপি করা হয়েছে। তৃতীয়ত, ভুয়ো ও বাতিল ভোট বিজেপি-র বলে ধরা হয়েছে। চতুর্থত, তৃণমূলের বৈধ ভোট অকারণে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চমত, খুব স্বল্প ব্যবধানে জয় নিয়ে সংশয়ের কথা জানিয়েছে তৃণমূল। ষষ্ঠত, ভুয়ো ব্যালট ভোটকে বিজেপি-র পক্ষে দেখানো হয়েছে। সপ্তমত, পোস্টাল ব্যালট গোনার ক্ষেত্রে গোলমাল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার বিকেলে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, নন্দীগ্রামে ১২০০ ভোটে জয়ী হয়েছেন মমতা। কিন্তু তার কিছু পরেই জানা যায়, ওই কেন্দ্রে ১৯২৩ ভোটে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। সন্ধ্যায় কালীঘাটের সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘মানুষের রায় আমি মাথা পেতে নিলেও ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে। তাই আমি এই বিষয়ে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাব।’’ তার পরেই তৃণমূল নেতৃত্ব টুইট করে জানায়, নন্দীগ্রামে গণনা এখনও শেষ হয়নি। তাই এখনই কোনও সিদ্ধান্ত আসবেন না। আর রাতেই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে পুনর্গণনার দাবি জানাল তৃণমূল।