হামলায় আহত দু’জন তৃণমূলকর্মী। —নিজস্ব চিত্র।
চতুর্থ দফার ভোট মিটলেও রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত। এ বার রাতের অন্ধকারে তৃণমূলকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত এক দল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা এলাকায় ওই হামলায় ৪ জন আহত হন। তার মধ্যে দু’জনের মাথা ফেটেছে। বিজেপি-ই এই হামলার পিছনে বলে দাবি তৃণমূলের। যদিও তা অস্বীকার করে শাসকদলের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পাল্টা দাবি করেছে বিজেপি। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জলপোল এলাকায় সোমবার রাতে বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মীর বা়ড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, আচমকা বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী লাঠি ও রড নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। লাঠির আঘাতে নিমাই সর্দার এবং রণ সর্দার নামে দু’জন কর্মীর মাথা ফেটেছে। সেই সঙ্গে আরও দু’জন আহত হয়েছেন। হামলার পর আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নরেন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
তৃণমূলের অভিযোগ, নির্বাচনে খারাপ ফল করবে জেনেই এখন থেকে সন্ত্রাস শুরু করেছে বিজেপি। এলাকার বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার বলেন, ‘‘ভোট মিটতে না মিটতেই বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে শুরু করেছে বিজেপি। পরিকল্পিত ভাবে রাতের অন্ধকারে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালায় তারা। পুলিশ-প্রশাসনকে বিষয়টা জানিয়েছি।’’
তবে অভিযোগ নস্যাৎ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পাল্টা দাবি করেছে বিজেপি। সোনারপুর উত্তর বিধানসভা আসনে বিজেপি-র ১ নম্বর মণ্ডল সভাপতি তাপু চৌধুরী বলেন, ‘‘এই মারধরের ঘটনার সঙ্গে বিজেপি-র কোনও যোগ নেই। অপপ্রচার করছে তৃণমূল। ওদের নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।’’