নিজস্ব চিত্র
শনিবার একাধিক কর্মসসূচিতে অংশ নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হলদিয়া, খেজুরির পর তিনি হাজির হয়েছেন পাঁশকুড়ায়। হলদিয়া থেকে মমতা বার্তা দিয়েছিলেন, ‘‘বিজেপি-কে আর একটিও ভোট নয়। দাঙ্গাকারী, কৃষক হত্যাকারীদের চাই না। ধমকাতে এলে হাতা-খুন্তি নিয়ে রুখে দাঁড়াবেন।’’
এ বার নজর পাঁশকুড়ায়।
৩.২৫ সবচেয়ে বেশি চুরি করে আজ বিজেপি করা। গদ্দাররা আর সিপিএমের হার্মাদরা বিজেপি-তে গিয়েছে।
৩.২৩ অনেকে বলছেন, ভাঙা পায়ে কী করে খেলবেন। ভাঙা পায়ে এমন শট মারব না, দেখবেন কতটা ক্ষমতা আছে। একটা পায়ে যা করব, তোমারা কোটি পায়ে তা করতে পারবে না। মা-বোনেরা মেশিনে যখন ভোট দিতে যাবেন, দু’বার করে মেশিন অন-অফ করুন। মেশিন ইচ্ছা করে খারাপ করে দিলে, মেশিন ঠিক আছে কি না, সেটা দেখে নিয়ে তারপর ভোট দেবেন। ভিভিপ্যাট দেখে নিন। ভোট হয়ে যাওয়ার পর একমাস পাহারা দিতে হবে। বিজেপি-র দেওয়া কিছু খাবেন না। বিরিয়ানির নামে, দুধের নামে কিছু খাবার খাইয়ে দিতে পারে বিজেপি। সেখানে মিশিয়ে দিতে কিছু। বাইরের খাবার খাবেন না এজেন্টরা। টাকা দিতে কোনও খেলা খেলতে দেব না। খেলা হবে ভোট দিয়ে, কোনও টাকা দিয়ে নয়।
৩.২০ বহিরাগত গুণ্ডারা এলে হাতাখুন্তি নিয়ে তাড়া করুন। আমি চাই ভোটে মা-বোনেরা সামনে থাকুন। ছেলেরা পাশে থাকবেন। একটা জেলাকে ৪-৫ ভাগ করে টুকরো করে দিয়েছে। তাই এই বিজেপি-কে একটি ভোটও নয়।
৩.১৮ কিছু বাইরে থেকে গুণ্ডা এসেছে। ওরা ময়াল সাপের থেকেও ভয়ঙ্কর, ওদের ঢুকতে দেবেন না, জীবন শেষ করে দেবে। আমরা কবে থেকে পুজো করি, সেই কবে থেকে ঐতিহ্য রয়েছে পুজোয়। ওরা মা দুর্গাকেও গালাগালি দিচ্ছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান গুলিয়ে দিচ্ছে, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে দিচ্ছে, বিরসা মুণ্ডার নামে অন্য লোকের গলায় মালা দিচ্ছে। গরীব লোকের বাড়িতে খাওয়ার নাম করে পাঁচতারা হোটেলের খাবার খাচ্ছে।
৩.১৬ প্রতি বছর ৪ মাস দুয়ারে সরকার হবে। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড সবাই করে রাখবেন। আগামী দিনেও চলবে। ছোট বাণিজ্য ক্ষেত্রে ১ কোটি ৩২ লক্ষ মানুষ কাজ করেছে। ১০০ দিনের কাজে বাংলা ১ নম্বর। দারিদ্র্য ৪০ শতাংশ দূর করেছি, বাংলায় খাদ্যসাথী, রুপশ্রী, বৈতরণী, জয় জহর-সহ একাধিক প্রকল্প আছে। বাংলায় সব ধর্মের সহাবস্থান আছে। বাংলার মানুষ চায় না বাংলায় বিজেপি থাকুক। ২০১৯ সালে ১৮টি আসন ভেবেছে বাংলা দখল করে নেবে। কিন্তু টাকা দিয়ে বাংলাকে জেতা যাবে না।
৩.১৪ আমাদের সরকার থাকলেই দরজায় দরজায় পরিষেবা পৌঁছে যাবে। আমাদের সরকার মহিলাদের ৫০০ টাকা ভাতা, তফশিলিদের ১০০০ টাকা। কৃষক ও খেতমজুরদের ৬০০০ টাকা। মে মাস থেকে সেটা বেড়ে হবে ১০ হাজার টাকা। পড়ুয়ারা পাবে ১০ লক্ষ টাকা করে ব্যাঙ্ক লোন। মাত্র ৪ শতাংশ সুদে পরে শোধ করবে।
৩.১১ এলআইসি ৭৫ শতাংশ বিক্রি করে দিচ্ছে, বিএসএনএল বিক্রি করে দিয়েছে, ক’দিন পর হলদিয়া বন্দর বিক্রি করে দেবে, আর নিজের নামে স্টেডিয়াম বানাচ্ছে। কখনও নিজেকে রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজি ভাবে, কী যে ভাবে কে জানে। বেশি দিন থাকলে এই দেশাটেকও বিক্রি করে দেবে। আমরা বাংলাকে বিক্রি করতে দেব না।
৩.০৮ আমরা এনপিআর চালু করতে দেব না। অনেক রাজ্য চালু করেছে, কিন্তু আমরা করতে দিইনি। ওরা এখানকার মানুষদের তাড়িয়ে দিয়ে বহিরাগতদের দিয়ে এলাকা দখল করার ছক। এরা রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করতে পারে না। গণতান্ত্রিক ভাবে লড়াই করতে পারে না। সব মিটিংয়ে বাংলার নামে কুৎসা করে। দিল্লিতে কী হয়েছে? বাংলাতে সব আছে, আর আপনার সরকারে নোটবন্দি হয়েছে, ব্যাঙ্ক বিক্রি করে দিচ্ছে, রেল বিক্রি কেন করছে? জবাব দিতে হবে বিজেপি-কে।
৩.০৭ বিজেপি-র নেতাকা ডাকাতের মধ্যমণি। পিএম কেয়ারের টাকা কোথায় গেল? কোভিডের নামে টাকা, নরেন্দ্র মোদী করবে ফাঁকা। আমরা বলেছিলাম, আমরা টাকা দিচ্ছি, টিকা আমাদের দিন, আমরা পৌঁছে দেব সাধারণ মানুষের কাছে। কিন্তু কেন্দ্র দিল না। কাউকে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে? নির্বাচনের সময় বলা হচ্ছে, মিটিং-মিছিলে যেতে টাকা দেবে বিজেপি। জনগণের টাকা চুরি করেছে। ভোটের সময় টাকা দিলেও ভোট দেবেন না। ভোটটা আপনার নিজস্ব অধিকার।
৩.০৬ আমাদের সরকার থাকলে আগামী দিনে দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে যাবে। আমরা রেশন দিচ্ছি বিনা পয়সা, আর গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা করেছে মোদী সরকার। চাল পাবেন বিনা পয়সা, আর গ্যাস ৮০০ টাকায়! তাই বিজেপি-কে একটিও ভোট নয়।
২.৫৪ সিপিএমের হার্মাদরা বিজেপি-র ওস্তাদ। এই বিজেপি অটলবিহারী বাজপেয়ীর বিজেপি নয়। এই বিজেপি দাঙ্গা কারি, গুণ্ডাদের বিজেপি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি দিচ্ছে না। এটা হলে এখানে আর বন্যার সমস্যা থাকবে না। ডিভিসি প্রকল্প হচ্ছে, যাতে আর জলের আর কোনও সমস্যা থাকবে না। কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো মণ্ডল কমিশনের আওতায় থাকা একটি কমিটির কথা মতো আরও কাজ হবে।
২.৫২ মানসিক ভাবে যন্ত্রণায় আছি। বিজেপি পার্টি অফিস তৈরি করে গল্প মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের দুই তৃতীয়াংশের বেশি আসন পাবে। মেদিনীপুর দিয়ে গেলেই আমাকে ওরা খাবার তুলে দেয়। আপনারা জানেন আমি মানুষের সঙ্গে কাজ করার লোক, আমি মানুষকে ছাড়া কাজ করতে পারি না। একটা করে ভোট তৃণমূলকে দিলে আমি সরকার তৈরি করতে পারব। না হলে বহিরাগতরা এসে বাংলা দখল করবে। দেখছেন না ওরা প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। কিছু মিরজাফর বেরিয়ে গিয়েছে, আমরা খুশি হয়েছি। কোটি কোটি টাকা দিয়ে বিজেপি লোক কিনছে।
২.৫০ পাঁশকুড়ায় পৌঁছে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।