পদ্মশিবিরে যোগ দিয়েই নির্বাচনের টিকিট। অভিনেত্রী পার্নো মিত্র এ বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বরাহনগর কেন্দ্র থেকে। ভোটের ময়দানে বাকি তারকা প্রার্থীদের মতো উৎসাহী-নজরে আছেন তিনিও।
নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামায় পার্নো জানিয়েছেন তাঁর উপার্জন ও সম্পত্তির বিবরণ। ২০১৯-’২০ আর্থিক বর্ষে তাঁর উপার্জন ছিল ১৭ লক্ষ ৩২ হাজার ৯৪৮ টাকা।
এই মুহূর্তে তাঁর হাতে আছে নগদ ১৪ হাজার ৩৭৫ টাকা। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাঁর নামে গচ্ছিত আছে যথাক্রমে ৫ হাজার ২৪৩ টাকা ২০ পয়সা, ৪ হাজার ১৪৭ টাকা ২৬ পয়সা এবং ২ লক্ষ ৯১ হাজার ২৬৪ টাকা ২৬ পয়সা।
পাশাপাশি, বিভিন্ন স্থায়ী আমানতে রাখা আছে দেড় লক্ষ টাকা, ১ লক্ষ টাকা, ২৫ হাজার টাকা, ৯৯ হাজার ৭৩৪ টাকা এবং ১ লক্ষ ৮ হাজার ৮৭০ টাকা। সব মিলিয়ে, রাজনীতিক-অভিনেত্রীর নামে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত আছে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা।
২০১৮ সালে পার্নো একটি সেকেন্ড হ্যান্ড ইকো স্পোর্ট ফোর্ড গাড়ি কিনেছিলেন। দাম পড়েছিল ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার ২১০ টাকা।
তাঁর কাছে থাকা ২০ গ্রাম সোনার দাম ৭০ হাজার টাকা।
পার্নোর নামে কোনও কৃষিজমি নেই। বাড়িও একটিই। বালিগঞ্জের কর্নফিল্ড রোডের সেই ফ্ল্যাটেই তিনি থাকেন।
২০১৬ সালে ১২০০ বর্গফুটের ওই ফ্ল্যাট তিনি কিনেছিলেন ৫০ লক্ষ টাকায়। ফ্ল্যাটের বর্তমান বাজারদর প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা।
এই মুহূর্তে পার্নোর নামে কোনও ব্যাঙ্কঋণও চলছে না। শেয়ারবাজারে পার্নো কিছু বিনিয়োগ করেননি। জীবনবিমার ক্ষেত্রে তিনি বিনিয়োগ করেছেন ২ লক্ষ ৯ হাজার টাকা।
হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে পার্নো জানিয়েছেন তিনি ২০০৪ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
অভিনেত্রীর পাশাপাশি নিজের পরিচয় দিয়েছেন সমাজসেবী হিসেবেও। উপার্জনের উৎস হিসেবেও এ দু’টি ক্ষেত্রের কথাই উল্লেখ করেছেন তিনি।
সুঅভিনেত্রী হিসেবে পরিচয় আছে পার্নোর। রাজনীতির ময়দানে তাঁর নতুন ইনিংস দেখার অপেক্ষায় অনুরাগীরা। বরাহনগরে তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের তাপস রায় এবং সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী কংগ্রেসের অমলকুমার মুখোপাধ্যায়।