মৌসম বেনজির নূরের সঙ্গে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যরা। — ফাইল চিত্র
বিজেপি-র চতুর্থ দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশের কিছু ক্ষণের মধ্যেই ভিন্ন অঙ্ক মালদহ জেলা পরিষদে। তৃণমূল সূত্রে খবর, এক সময় বিজেপিতে যোগ দেওয়া ৩ সদস্য চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁরা জোড়াফুল শিবিরেই রয়েছেন রাজ্যের শাসক দলের দাবি, ৩ সদস্যের ‘ঘর ওয়াপসি’তেই জেলা পরিষদ এখন তাঁদের দখলে। যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপি। পদ্মশিবিরের দাবি, ৩৮ আসনের মালদহ জেলা পরিষদে সংখ্যা গরিষ্ঠতা তাদেরই।
মালদা জেলা পরিষদের মোট ৩৮ আসনের মধ্যে ৩০টি ছিল তৃণমূলের দখলে। এ ছাড়া, ৬টি বিজেপি এবং ২টি কংগ্রেসের দখলে ছিল। কিন্তু কংগ্রেস এবং বিজেপি ছেড়ে এক জন করে সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এর ফলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২। বিজেপি-র হয় ৫টি আসন এবং কংগ্রেসের দখলে থাকে ১টি আসন। সম্প্রতি জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল-সহ ১৪ জন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় পদ্মশিবিরের আসন সংখ্যা হয়ে যায় ১৯ জন। আর তৃণমূলের আসন কমে হয় ১৮টি। এই পরিস্থিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জেলা পরিষদ দখল করেছে বলে দাবি করে বিজেপি। কিন্তু, বিজেপি-র চতুর্থ দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশের কিছু ক্ষণের মধ্যে মালদহ জেলা পরিষদের সিঁড়িভাঙা অঙ্কে পিছিয়ে যায় বিজেপি। এমনটাই দাবি জোড়াফুল শিবিরের। দলে পরিবর্তন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সন্তোষ চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরা চিঠি দিয়ে দলকে জানিয়েছি আমরা তৃণমূলে ছিলাম। তৃণমূলেই রয়েছি।’’
এমন পরিস্থিতিতে জেলা পরিষদ নিজেদের দখলে বলেই দাবি করছে তৃণমূল। মালদা জেলা তৃণমূলের কো-অডিনেটর হেমন্ত শর্মা বলেন, ‘‘বিজেপি-র দাবি ভিত্তিহীন। অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমরা খুব তাড়াতাড়ি দেখিয়ে দেব, মালদহ জেলা পরিষদ তৃণণূলের দখলে ছিল, আছে এবং থাকবে।’’
বিজেপি-র মালদহ জেলার সভাপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র মণ্ডল চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন, ‘‘অনাস্থা নিয়ে আসুন, তাতে আমাদের আপত্তি নেই। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করব। তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলে প্রমাণ করুক।’’ রাজনৈতিক মহলের একাংশের অবশ্য মত, মালদহ জেলা পরিষদ কার, এই প্রশ্নের সমাধান হবে ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই।