শেষ হল সপ্তম দফার ভোট-পর্ব। ছবি: পিটিআই।
কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার আঙুল উঁচিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। কোথাও বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতার বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। সোমবার কলকাতা-সহ রাজ্যের ৫ জেলার ৩৪ আসনে সপ্তম দফার ভোটপর্বে এমন বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও বড় ধরনের কোনও অশান্তি হয়নি। হয়নি আগের দফাগুলির মত রক্তপাতও। নির্বাচন কমিশনের চোখে অবশ্য ভোট পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের, ‘‘সপ্তম দফায় শান্তিপূর্ণ ভাবেই সম্পূর্ণ হয়েছে ভোট গ্রহণ। বড় কোনও অশান্তির খবর মেলেনি। অন্য দফার থেকে এই দফায় অভিযোগও কম জমা পড়েছে।’’ এই দফায় সবথেকে কম অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনের কাছে। মোট ১১৪৬টি। কমিশনের হিসেব জানাচ্ছে, বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মোট ৭৫.০৬ শতাংশ। উত্তর দিনাজপুরে ৮০.২৫, মালদহে ৭৮.৭৬, মুর্শিদাবাদে ৮০.৩৭, পশ্চিম বর্ধমানে ৭০.২৪ এবং কলকাতায় ৬০.২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
মুর্শিদাবাদ ও মালদহের ‘অতি স্পর্শকাতর’ কয়েকটি আসন নিয়ে চিন্তিত ছিল কমিশন। কিন্তু সেখানে বড় কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। মুর্শিদাবাদ জেলার রানিনগর বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে এক নির্দল প্রার্থীর এজেন্টকে মারধর এবং দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুরের অভিযোগ মিলেছে। যদিও বিরোধীদের দাবি, সকাল থেকেই ওই দুই নেতা বুথের কিছুটা দূরে তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছিলেন এবং প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সোমবার সকালে রানিনগরের সেনপাড়া এলাকায় বিজেপি প্রার্থী মাসুহারা খাতুনের গাড়িতেও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের ২৩৮ নম্বর বুথের সামনে কংগ্রেস প্রার্থী শেখ নিজামউদ্দিনের উপর তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ। তৃণমূলের তরফে নিজামউদ্দিনের বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগ তোলা হলেও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে কংগ্রেস প্রার্থী জানান, তিনি মাস্ক বিলি করেছিলেন।
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে এক পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে বচসা এবং আঙুল উঁচিয়ে ‘২ তারিখের পর দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপর লাঠি চালিয়েছে, এই অভিযোগ পেয়ে সায়নী সোনমনি ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের বুথের কাছে পৌঁছন। সেই সময় ওই রাজ্য পুলিশের ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর সায়নীর সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি থাকায় আপত্তি জানালে বচসা বাধে। জেলার আরেক কেন্দ্র জামুড়িয়া সিপিএম সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সিপিএম প্রার্থী ঐশী ঘোষ।