কলেজ চত্বরে বিক্ষোভের মুখে সুজাতা মণ্ডল। — নিজস্ব চিত্র।
এ বার আরামবাগের নেতাজি মহাবিদ্যালয়ে গণনাকেন্দ্রের স্ট্রং-রুমের সুরক্ষা দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল।
গত মঙ্গলবার, ভোটের দিন আরামবাগের আরান্ডির দক্ষিণপাড়ায় তিনি বিক্ষোভোর মুখে পড়েছিলেন। বিজেপির লোকজন তাঁকে নিগ্রহ করে বলেও অভিযোগ। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ তিনি ওই কলেজ চত্বরে ঢুকেছিলেন। জানতে পেরে বিজেপি কর্মীরা তাঁর বিরুদ্ধে ইভিএম চুরির চেষ্টার অভিযোগ তুলে কলেজের গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে দেন। সুজাতা তার মধ্যে দিয়েই কোনওমতে বেরিয়ে যান।
ওই রাতেই পুলিশের কাছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে তাঁর পথ আটকে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেন সুজাতা। তার ভিত্তিতে পুলিশ শেখ জামালউদ্দিন নামে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। জামালউদ্দিনের দাবি, ‘‘তৃণমূল প্রার্থীকে হেনস্থা করা হয়নি। তিনি ইভিএম লুট করতে গিয়েছিলেন। আমরা বাধা দিতে লুট করতে পারেননি। সেই ক্ষোভেই আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হল। যাওয়ার সময় উনি কটূক্তি করেন।” পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।
সুজাতা বলেন, “ভোটের দিন বিজেপি আমাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। ভোটে জিততে পারবে না জেনেই ওরা হতাশায় ভুগছে। আমি ইভিএম ঠিক আছে কিনা দেখতে এসেছিলাম। স্ট্রং-রুম থেকে বেরিয়ে আসার সময় পথ আটকে অসভ্যতা করেছে।’’
এ দিকে, তৃণমূল প্রার্থী স্ট্রং-রুমে গিয়েছিলেন শুনে সে দিনই রাত ১টা নাগাদ বিজেপি প্রার্থী মধুসূদন বাগ সেখানে যান। তাঁকে অবশ্য তখন ভিতরে যেতে দেওয়া হয়নি। মধুসূদনবাবু বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় স্ট্রং-রুম সুরক্ষিত রয়েছে। তা সত্ত্বেও, তৃণমূল প্রার্থী ভিতরে যাওয়ার বিষয়টা পুরোটা আমাকে সিসিটিভি-তে দেখানো হবে বলে জানানো হয়েছে।’’
বৃহস্পতিবার বিকালে তৃণমূলের পক্ষে তাদের প্রার্থীর উপর বিজেপির বারবার ‘হামলা’র প্রতিবাদে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রিটার্নিং অফিসার তথা মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করা হয়। স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, পুলিশ ইতিমধ্যে আইনানুগ পদক্ষেপ করেছে।