নজর: মালদহ বিধানসভার অন্তর্গত মহিষবাথানি পঞ্চায়েতের রহমতনগর গ্রাম ঘুরে দেখল কেন্দ্রীয় বাহিনী। গ্রামবাসীর সঙ্গে কথাও বলেন জওয়ানরা। ছবি: স্বরূপ সাহা
বিধানসভা ভোটে অশান্তি ও চোরাচালান রুখতে উত্তর দিনাজপুর জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করল জেলা প্রশাসন। এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ভোটের আগে বাংলাদেশ থেকে কোনওভাবেই এই জেলা তথা রাজ্যে যাতে অস্ত্র পাচার কিংবা অনুপ্রবেশ না ঘটে তার জন্য এই পদক্ষেপ এবং ১৪৪ ধারা জারি।
উত্তর দিনাজপুরে ইসলামপুর মহকুমাশাসক ও রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক এই নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর। জেলা প্রশাসন বিষয়টি ইতিমধ্যে বিএসএফ এবং থানা ও ব্লক প্রশাসন কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে সীমান্তবাসীদের সতর্ক করতে মাইকিং করে জানানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলার গোয়ালপোখর, করণদিঘি, ইসলামপুর, হেমতাবাদ ও কালিয়াগঞ্জ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে নির্দেশ জেলা প্রশাসনের তরফে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ৮ কিলোমিটার মধ্যে বিকেল ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। পাশাপাশি বিএসএফকেও এই সময়ে নজরদারি জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অধিকাংশ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি প্রবেশ করতে হচ্ছে। ৫টার মধ্যে বাড়ি পৌঁছানো অনেকের ক্ষেত্রে সমস্যা। বাসিন্দাদের আশঙ্কা বিএসএফের তল্লাশির নামে হেনস্থার মুখে পড়তে হবে। অনেক গ্রামীণ সীমান্ত এলাকায় হাট-বাজার রয়েছে। সেখানে জনসমাগম হয়ে থাকে। এতে নজরদারির ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা বিএসএফের।
যদিও জেলা প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, বিধানসভা ভোটের জন্য সিদ্ধান্তে জোর দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে ওই নির্দিষ্ট এলাকাগুলোতে গরু-সহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বহন করা ও একসঙ্গে চার জন মানুষ চলাচলের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ১২ মার্চ এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে আগামী ১০মে পর্যন্ত এই আইন লাগু থাকবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুর জেলায় ২২৭ কিলোমিটার জুড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। সীমান্ত এলাকার বুথগুলিতে গণ্ডগোলের আশঙ্কা থাকে। ভোট প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বিগত দিনের নির্বাচনের তুলনায় এবারের বিধানসভা হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে। যে কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভোটের আগে বাড়তি সুবিধা নিতে অপরাধমূলক কাজের আশ্রয় নিতে পারে। তাই এলাকায় নজরদারি বাড়াচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।