মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক ছিল ভোট গণনার আগের দিন দুপুরে প্রার্থী ও নির্বাচনী এজেন্টদের নিয়ে বৈঠক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার অষ্টম দফার ভোটগ্রহণ চলার মাঝেই বৈঠকের দিনক্ষণ বদল করলেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, ১ মে-র বদলে ৩০ এপ্রিল শুক্রবার বেলা তিনটে নাগাদ ওই বৈঠক হবে। ইতিমধ্যে দলের সমস্ত প্রার্থীদের কাছে বৈঠকের দিন ও সময় বদলের বার্তা পৌঁছে গিয়েছে। বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্টদেরও।
ভার্চুয়ালি ওই বৈঠকে তৃণমূলের ২৮৮ জন প্রার্থী এবং তাঁদের এজেন্টদের সঙ্গে গণনা প্রসঙ্গে আলোচনা করতে পারেন মমতা। ২০১১ বা ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন পর্ব মিটে যাওয়ার পর এবং গণনার আগে তৃণমূলনেত্রী এমন কোনও বৈঠক করেননি। শুক্রবারের বৈঠকে গণনা নিয়ে দলকে কী নির্দেশ দেন তিনি, সে দিকেই তাকিয়ে তৃণমূল-প্রার্থীরা। এ বারের ভোটে ২৯১ জন তৃণমূল প্রার্থী লড়াই করছেন। কিন্তু জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্য দিকে, খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহ করোনা আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। বাকি ২৮৯ জন প্রার্থীর ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে হাজির থাকার কথা।
এ বারের বিধানসভা ভোটে করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই গণনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন নিয়ম চালু করেছে নির্বাচন কমিশন। কোভিড রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ হলে তবেই গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে এজেন্টদের। বুধবার রাতে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে বলে দাবি করে পাল্টা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে কলকাতার নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছে এসেছে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে গণনাকেন্দ্রে টেবিলের সংখ্যা এক রেখে ঘরের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে শুক্রবারের বৈঠকে নতুন নিয়ম প্রসঙ্গে প্রার্থী ও নির্বাচনী এজেন্টদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে মমতা এই জরুরি বৈঠক তলব করেছেন।