ছবি: পিটিআই
শনিবার পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফার বিধানসভা ভোটের প্রথম পর্ব। ৩০ আসনে ভাগ্য নির্ধারণ হবে ১৯১ জন প্রার্থীর। তার আগে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত একগুচ্ছ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে কোভিড বিধি মেনে বিহারে বিধানসভা ভোট হয়েছে। বাংলার ক্ষেত্রেও এ সংক্রান্ত নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়েছে। বুথে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে ভোট করানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে পুলিশ ও ভোটকর্মীদের। কমিশন জানিয়েছে, প্রতিটি বুথেই থাকছে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর বিধি মেনেই শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে। সেই পরীক্ষায় পাশ করলেই মিলবে বুথে ঢুকে ইভিএম-এর বোতাম টেপার সুযোগ। যাঁদের তাপমাত্রা বেশি থাকবে, তাঁদের সেই মুহূর্তে বুথে ঢোকার সুযোগ মিলবে না। সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বুথে এলে তাঁদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ দেবে কমিশন। প্রয়োজনে পিপিই দেওয়া হবে তাঁদের। এ জন্য প্রতিটি বুথেই পিপিই রাখা হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-র দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে কমিশনের এক কর্তা বলেন, ‘‘ভোটগ্রহণ পর্বে কঠোর ভাবে কোভিড বিধি মানার জন্য প্রয়োজনীয় নজরদারির ব্যবস্থা থাকছে।’’
কমিশন সূত্রের খবর, শনিবারের রাজ্যের ৫ জেলায় প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্বে মোট ৭৩২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ঝাড়গ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি, ১৪৪ কোম্পানি। ৩০টির মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের ৭, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬, ঝাড়গ্রামের ৪ (সবগুলি), বাঁকুড়ার ৪ এবং পুরুলিয়ায় ৯টি (সবগুলি) আসন রয়েছে। মোট ভোটদাতার সংখ্যা ৭৩ লক্ষ ৮০ হাজার ৯৪২।
ভোট হতে যাওয়া ৩০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল এবং বিজেপি লড়ছে ২৯টি করে আসনে। পুরুলিয়ার জয়পুরে তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় সেখানে এক নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। অন্য দিকে, পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি আসনটি জোটশরিক অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আজসু)-কে ছেড়েছে বিজেপি। মোর্চা শরিকদের মধ্যে সিপিএম ১৮, সিপিআই ৪, ফরওয়ার্ড ব্লক ২, আরএসপি এবং কংগ্রেস ৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তবে পুরুলিয়ায় বাঘমুন্ডি-সহ কয়েকটি আসনে কংগ্রেসের সঙ্গে বাম শরিকদের লড়াই হচ্ছে।