তখন মঞ্চে বক্তৃতা করছেন স্মৃতি। শালবনিতে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
রবিবাসরীয় প্রচার। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা চষে বেড়ালেন পশ্চিম মেদিনীপুরে বিভিন্ন এলাকা। কোথাও ফাঁকা রইল চেয়ার। কোথাও র্যালিতে ভিড় হল ভালই।
এ দিন দুপুরে শালবনির গোবরুতে মেদিনীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শমিত দাসের সমর্থনে জনসভায় এসেছিলেন স্মৃতি ইরানি। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দুর্গামন্দির মাঠে এই সভা হয়। সভাস্থলের পাশেই করা হয়েছিল হেলিপ্যাড। চড়া রোদে সভাস্থলে ভিড় তেমন ছিল না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের সময় মঞ্চের দু’দিকে পাতা চেয়ার গুলো ফাঁকাই ছিল। বক্তব্যে আগাগোড়াই ‘দিদি’র (মমতা) কথা তুলে স্মৃতি বলেন, ‘‘দিদি বলছেন খেলা হবে। উনি মোদী সরকারের উন্নয়নের প্রকল্প বাংলায় চালু না করে খেলা করছেন, মোদী সরকারের চাল নিজের বলে চালাচ্ছেন। কৃষকদের অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রের ৬ হাজার টাকা ঢুকছে না, আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করছে না। বাংলার মানুষ বলছেন এই খেলাটা বন্ধ হবে।’’
কেশপুরে অবশ্য বিজেপির র্যালিতে ভিড় হয়েছে ভাল। বিকেলে কেশপুরের নেড়াদেউলে কামেশ্বর মন্দিরের সামনে থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরের মোহবনির ক্ষুদিরামের জন্মভিটা পর্যন্ত র্যালিতে অংশ নেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শাহনওয়াজ খান। ছিলেন কেশপুরের বিজেপি প্রার্থী পৃথ্বীশ কোনার প্রমুখ। শাহনওয়াজ ক্ষুদিরামের মুর্তিতে মালা দিয়ে জানান, দিদির দিন এবার শেষ হবে। নতুন বাংলা গড়ার বেশিদিন আর বাকি নেই। মেদিনীপুর থেকে কেশপুর যাওয়ার সড়কের কেশপুর থানা এলাকাতে সমস্ত লোকালয়ে রাস্তার দু’পাশে পাহারাতে ছিলেন আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানেরা।
এ দিন ঘাটাল ও চন্দ্রকোনা বিধানসভায় বুথ নেতৃত্ব সহ সাধারণ মানুষ,ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। এ দিন প্রথমে চন্দ্রকোনা বিধানসভা এলাকার ক্ষীরপাই শহরে বৈঠক করেন জাহাজ মন্ত্রী। তারপর বৈঠক করেন ঘাটালে। বৈঠক সেরে দলের এক নেতার বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ছিলেন চন্দ্রকোনা বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী শিবরাম দাস এবং ঘাটাল বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী শীতল কপাট প্রমুখ। তথ্য সহায়তা: রূপশঙ্কর ভট্টাচার্য, কিংশুক আইচ, অভিজিৎ চক্রবর্তী।