রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ার বালি এবং ডোমজুড়ের দুই তৃণমূল বিধায়ক এখন বিজেপি-তে। বালির বৈশালী ডালমিয়া এবং ডোমজুড়ের রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-র টিকিটে পুরনো কেন্দ্রেই দাঁড়াতে পারেন বলে খবর। বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হলেও তৃণমূল শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছে কারা দাঁড়াচ্ছে এই ২ কেন্দ্রে। আর তার পরেই ২ কেন্দ্রে কার্যত বিপরিত ছবি উঠে আসছে। বালিতে যেমন কিছুটা সৌহার্দের আবহ, ডোমজুড়ে ঠিক বিপরিত।
বালিতে বৈশালী ডালমিয়াকে নিয়ে বার বার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। তাঁদের দাবি ছিল, বহিরাগত নয় এলাকার কাউকে প্রার্থী করা হোক। সেই আবহেই দল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন বৈশালী। আর এবার বালিতে তৃণমূলের টিকিট পেয়েছেন রানা চট্টোপাধ্যায়। রানা বালির ভূমিপুত্র, পেশায় শিশু চিকিৎসক। ডাক্তারি পড়ার সময় থেকে ছাত্র পরিষদ করতেন। তার পর যদিও সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে তিনি অনুপ্রাণিত ছিলেন। ইচ্ছেও ছিল তাঁর সঙ্গে কাজ করার। এবার সেই সুযোগ এসে গেল বলে জানিয়েছেন রানা।
শুক্রবার নাম ঘোষণা হতেই রানার বেলুড়ের ফ্ল্যাটে দলে দলে শুভেচ্ছা বিনিময় ও মিষ্টিমুখ করাতে আসেন তৃণমূল কর্মীরা। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি রানাও। তিনি বলেন, ‘‘জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’’ রানার বিরুদ্ধে বিজেপি-র টিকিটে দাঁড়াতে পারেন বৈশালী। বৈশালী প্রসঙ্গে রানার দাবি, আমাদের মধ্যে দীর্ঘ দিনের পরিচয়, সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই ভোটে রাজনৈতিক লড়াই হবে। কিন্তু ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক বজায় রেখেই।’’
রানা চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
বালিতে যখন ব্যক্তিগত স্তরে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ লড়াই হতে চলেছে ডোমজুড়ে ঠিক বিপরিত অবস্থা। তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ ঘোষের সঙ্গে বিজেপি-র সম্ভাব্য প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। দু’জনেই এক সময় তৃণমূলে থাকলেও রাজীবের সঙ্গে কল্যাণের সম্পর্ক কখনওই ভাল ছিল না বলেই তৃণমূলের অন্দরের খবর।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করে কল্যাণকে হারিয়েছিলেন রাজীব। এ বার তাঁর বদলা নেওয়ার পালা বলে জানিয়েছেন কল্যাণ। ডোমজুড়ে যদি রাজীব দাঁড়ান তবে তাঁকে হারিয়ে সেই প্রতিশোধ নেবেন বলে আত্মবিশ্বাসী কল্যাণ। তিনি বলেন, “রাজীবের রাজনৈতিক জন্ম আমার হাতে হয়েছে। রাজনৈতিক মৃত্যুও হবে আমার হাতে।” তিনি দাবি করেন আগামী ২ মে রাজীবের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।