দিদি-বৌদি
রাজনীতির সংসারে দিদি-বৌদির ঠোকাঠুকির বারোমাসের ব্যাপার। আদা-কাঁচকলায় সম্পর্ক। সেই লড়াই আরও বেড়ে এ বার ভবানীপুরের মাঠে এসে পড়েছে। অথচ দীপা দাশমুন্সি যখন মনোনয়নের পেশের দিন ঠিক করে ফেললেন, শুনতে পেলেন সে দিনই মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮ এপ্রিল, দুপুর ১টায় আলিপুর ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে যাওয়ার কথা মমতার। দীপা যাবেন দেড়টায়! নিছক কাকতালীয়? গ্রহ তারার অঙ্ক নেই তো? খোঁজ খোঁজ। দিদির ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, মেষ রাশির জন্য ওই দিন মঙ্গলের প্রভাব থাকবে। অশ্বিনী নক্ষত্র থাকবে কেতুর ঘরে। তাতে শত্রুনিধনের যোগ রয়েছে। শুক্রবার দিনটাও দিদি শুভ বলে মনে করেন। বৌদির অবশ্য দাবি, কোনও অঙ্ক খুঁজতে যাবেন না যেন!
ভোটের ফ্যাশন
হাতে দলীয় প্রতীকের নকশায় বানানো দামি সোনার আংটি। চোখে সানগ্লাস। নলহাটি কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর প্রচারে বুধবার হাজির বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। হাত নাড়তে নাড়তেই বিঁধলেন বিরোধীদের তোলা নারদ প্রসঙ্গকে। বললেন, ‘‘নারদ-কাণ্ড আসলে পুজোর ফ্যাশনের মতো। পুজোর সময়ে ফ্যাশনে যেমন একটা নতুন শাড়ি বের হয়, তেমনই নির্বাচনের ফ্যাশন এটা।’’ আর সেই ফ্যাশন ভোট-বাজারে চলবে না বলেই দাবি তারকা-সাংসদের। বিরোধীদের অবশ্য কটাক্ষ, ভোট-বাজারে নারদ হিট। তাই সাংসদের মুখে নারদেরই কথা!
টিকিট হবে?
শনিবারই শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ। তাই ফুটবল জ্বর এতটাই তেতে উঠেছে যে, শিলিগুড়ি তো বটেই, লাগোয়া ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বা কাছের জলপাইগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের দু’দলের প্রার্থীরাই প্রচারে গেলে ফুটবল ডার্বির টিকিটের আবদার শুনছেন। কিন্তু তা সম্ভব নয়। সে কথাই বুঝিয়ে বলতে হচ্ছে জোটের প্রচারে।
এখনই মন্ত্রী
বিরোধীদের বোম মারা, দেখে নেওয়ার হুমকি তার মুখে প্রায়ই শোনা যায়। এ বার প্রচার-পর্বে দলীয় প্রার্থীকে একেবারে মন্ত্রীর পদেই বসিয়ে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল! মঙ্গলকোটের সেই প্রার্থীর নাম সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। বুধবার মঙ্গলকোটে দলের মহিলা সম্মেলনে অনুব্রত বলেন, ‘‘আমরা জানি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তিনি মঙ্গলকোটে সিদ্দিকুল্লাকে প্রার্থী করেছেন। আমি জানি, সিদ্দিকুল্লা মন্ত্রী হবেন। তিনি আপনাদের পাশে থাকবেন।” সিদ্দিকুল্লা স্পিকটি নট।
আশায় মান্নান
সিপিএমের সেই জমানাতেও চাঁপদানিতে কংগ্রেসের সাধু মিশ্রকে সকলে এক ডাকে চিনত। আশিক দশক থেকেই আব্দুল মান্নানের এ বাড়িতে আনাগোনা। সাধুবাবুর ছেলে সুরেশ এখন তৃণমূলে। চাঁপদানি পুরসভার চেয়ারম্যান। ভোটে শাসকদলের বড় বলভরসা। তাতে কী! সম্পর্ক যে ফিকে হয়নি, চাঁপদানির কংগ্রেস প্রার্থী মান্নান তা টের পেলেন ওই বাড়িতে গিয়ে। সুরেশের মা সরোজদেবী পুরনো গল্পে ডুব দিলেন। বললেন, তিনি মান্নানের পাশেই রয়েছেন। সরোজদেবীর ভোট পাওয়ার আশা নিয়ে ফিরলেন মান্নান।