১৪৪ ধারা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে নির্বাচন কমিশনের প্রচার। শনিবার সল্টলেকে। ছবি: শৌভিক দে।
ভোটের আগে কিংবা ভোটের দিন যে দুষ্কৃতী দাপট সহ্য করা হবে না, তা আগেই জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এ বার ভোট পরবর্তী হিংসার ক্ষেত্রেও কড়া মনোভাব নিচ্ছে তারা। শনিবার কমিশন জানিয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসায় লাগাম টানার জন্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি-র উপরে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
কমিশন সূত্রের খবর, তৃতীয় দফার ভোট মিটতেই বর্ধমান, নদিয়া-সহ একাধিক জায়গায় বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা হয়েছে। বর্ধমানের রায়নায় দু’জন সিপিএম সমর্থক-সহ মোট চার জন খুন হয়েছেন। মারধর, বিরোধীদের ঘর জ্বালানোর মতো অভিযোগও উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যের সিইও এবং ডিজি-কে নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর। এ দিন ভোট সংক্রান্ত হিংসার অভিযোগ ও তাতে ধৃতের সংখ্যার হিসেব দিয়েছে কমিশন। তাদের মতে, বৃহস্পতিবার ১১টি ভোট সংক্রান্ত হিংসার অভিযোগ করা হয়েছিল। তাতে গ্রেফতার হয়েছে ১৩ জন। শুক্রবার ৬টি অভিযোগ দায়ের হয়। তাতে ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আবার শুক্রবার গোটা রাজ্যে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ২৯টি মামলা করা হয়েছে। তাতে ধৃতের সংখ্যা ২৬। কমিশনের জনসংযোগ অধিকর্তা ধীরেন্দ্র ওঝা এ দিন জানিয়েছেন, ভোট সংক্রান্ত হিংসা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মোতায়েন অফিসারকেই তার দায় নিতে হবে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া বা উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে অফিসারের গাফিলতি থাকলে কড়া পদক্ষেপ করবে কমিশন। হিংসার ঘটনায় রাজনৈতিক রং না দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ফের প্রশাসনিক কর্তাদের মনে করিয়ে দিয়েছে নির্বাচন সদন। হিংসার ঘটনা রুখতে কড়া দাওয়াই না দিলে পরের দফায় ভোটগ্রহণে প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করছেন কমিশনের কর্তারা।