চিকিৎসা চলছে আহত তৃণমূল কর্মীর। নিজস্ব চিত্র।
মালদহে ভোট পরবর্তী হিংসা জারি।
বৃহস্পতিবার এক তৃণমূল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। মালদহ থানার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুরে ওই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় দারুল আলম নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতির নেতৃত্বে দলের একদল কর্মী ওই হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, জমি নিয়ে পুরনো বিবাদের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ ওই ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিরাট পুলিশবাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনেন মালদহ থানার আইসি তপন ভট্টাচার্য। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গন্ডগোল এড়াতে ঘটনার পর থেকেই এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
মালদহের পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজাও বলেন, ‘‘পুরনো বিবাদের জেরে ওই ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’’ জানা গিয়েছে এ দিন সকালে পাটের খেতে কাজ করতে যান ওই তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, জমিতে কাজ করার সময় দলবল নিয়ে সেখানে হানা দেন মহিষবাথানি অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি আসিরুদ্দিন শেখ। তাদের দেখেই সাইকেলে করে পালাতে শুরু করেন দারুল আলম। কিন্তু তাড়া করে তাঁকে ধরে রাস্তার উপরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। দু’হাতের কব্জিতেও কোপ মারা হয়। বাসিন্দারা ছুটে আসতেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে বাসিন্দারাই ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর দু’হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে।
মালদহ কেন্দ্রের জোটপ্রার্থী তথা বিদায়ী কংগ্রেস বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদারের দাবি, ‘‘জমি নিয়ে দুই প্রতিবেশীর পুরনো বিবাদের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে। এখন একে রাজনৈতিক ইস্যু করে কংগ্রেসীদের নামে মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে। আমাদের দলের কেউ ওই ঘটনায় জড়িত নয়।’’
জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অরুণ তরফদারের অবশ্য অভিযোগ, জমি নিয়ে বিবাদের কোনও ঘটনা ঘটেনি। দারুল সাহেব এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। নির্বাচনে এবার তিনি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। সেই ক্রোধেই কংগ্রেসীরা তাকে খুনের চক্রান্ত করে।’’