নির্বাচন কমিশন চাইলে আমেরিকা থেকে পুলিশ এনে ভোট করাক। কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় হুমকির সুরে বলেছিলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী তিন দিনের জন্য আসছে। এর পর তো নিরাপত্তা দিতে হবে রাজ্যকেই।’’ তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিরোধীরা। আনন্দবাজারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সারাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করলেও নসীম জৈদী জানিয়ে দিলেন, ভোটারদের হুমকি দিলে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাঁর কথায়, ‘‘নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল, নেতা, কর্মী কিংবা প্রার্থীদের থেকে ভদ্র এবং মর্যাদাসম্পন্ন ব্যবহার আশা করে। কিন্তু কমিশনের কাছে বিভিন্ন দলের বেশ কিছু নেতার নানা বক্তব্যের বয়ান এসেছে। কমিশন তা খতিয়ে দেখছে এবং নির্বাচনী আচরণবিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে নির্দিষ্ট আইনি পদক্ষেপও করা হবে। ভোটারদের মনে ভীতির সঞ্চার হয় এমন কোনও মন্তব্য, সে যারই হোক না কেন কমিশন তা বরদাস্ত করবে না।’’
জৈদীর আরও বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষ। তারা কোনও ভাবেই স্থানীয়দের দ্বারা প্রভাবিত হবে না। যদি কোনও দল বা ব্যক্তি কেন্দ্রীয় বাহিনী বা ভোটকর্মীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন, তা কঠোর ভাবে ঠেকানো হবে। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি, ভোট প্রক্রিয়ায় কারচুপি করার এমন অনৈতিক ছক থেকে বিরত থাকুন।’’