কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া প্রায় শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিটল রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোট। যার জেরে শাসক এবং বিরোধী, দু’পক্ষই মনে করছে ভোট তাদের ঝুলিতেই গিয়েছে।
বুধবার কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলির মোট ৫৩টি আসনে নির্বাচন ছিল। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, এ দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৭৮.২৫ শতাংশ। এর মধ্যে হুগলিতে ৭৮.৯৮ শতাংশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পড়েছে ৭৯.৬৯ শতাংশ ভোট। কলকাতায় ভোটের হার সেই তুলনায় বেশ কম। মাত্র ৬৩.১০ শতাংশ ভোট পড়েছে সেখানে।
দিনের শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। সেই সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করেছে রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশও। এই দুই বাহিনীর সক্রিয় এবং কার্যকরী ভূমিকার জন্য কমিশন আলাদা ভাবে তাদের প্রশংসা করেছে।
নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেছে বিরোধী দলগুলিও। কংগ্রেস নেত্রী তথা ভবানীপুরের জোট প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি কলকাতা পুলিশেরও প্রশংসা করেছেন। মানুষ নিঃশব্দে স্বতস্ফূর্ত ভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘‘সকলে খুবই সক্রিয় ছিল। কালীঘাট থানা বাদে সকলেই ভীষণ ভাল কাজ করেছে। ওই থানায় বিভিন্ন বিষয়ে বার বার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।’’
একই কথা শোনা গিয়েছে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের গলাতেও। তাঁর কথায়, ‘‘মমতাকে আর গঙ্গা পেরিয়ে নবান্নে যেতে হবে না। ভবানীপুর থেকেও মানুষ তাঁকে বিধানসভায় পাঠাবেন না। পুলিশ আর নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ।’’