উত্তরবঙ্গ নির্বিঘ্ন, অশান্ত বীরভূম, জেলা জুড়ে হামলার মুখে বিরোধীরা

নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারির মধ্যেই শুরু হল দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। উত্তরবঙ্গ মোটের উপর শান্তিপূর্ণ থাকলেও অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূম সকাল থেকেই উত্তপ্ত। বোলপুর আর ইলামবাজারে বিরোধী দলের দুই এজেন্টকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৬ ১০:০৪
Share:

বীরভূমের ইলামবাজারে ডমরুতে আহত বিজেপি সমর্থকেরা। ছবি: বিশ্বজিত্ রায়চৌধুরী।

নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারির মধ্যেই শুরু হল দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। উত্তরবঙ্গ মোটের উপর শান্তিপূর্ণ থাকলেও অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূম সকাল থেকেই উত্তপ্ত। বোলপুর আর ইলামবাজারে বিরোধী দলের দুই এজেন্টকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল। যথারীতি অভিযুক্ত তৃণমূল। নানুর এবং দুবরাজপুরে অনেকগুলি বুথে বিরোধী এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

বোলপুর থেকেই সর্বাগ্রে গোলমালের খবর এসেছে এ দিন সকালে। বিজেপি-র এক পোলিং এজেন্টকে সেখানে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এর পর ইলামবাজারেও একই ঘটনা। সেখানে আক্রান্ত হন বামেদের এজেন্ট। তাঁরও মাথা ফাটে। তবে ইলামবাজারে শুধু ওই একটি বুথে নয়, অশান্তি ছড়ায় অনেকগুলি বুথে। মোট ৬ জন বিজেপি কর্মী ও ২ জন বাম কর্মী আক্রান্ত হন। সবক’টি ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। নির্বাচন কমিশন অবশ্য ইলামবাজারে কড়া পদক্ষেপ করেছে। বিরোধীদের উপর হামলার ঘটনায় ৪ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। নানুরের বেশ কিছু বুথেও বিরোধীদের বসতে দেওয়া হয়নি বলে খবর। গোলমাল শুরু হয়েছে দুবরাজপুরেও। সেখানকার অন্তত ১২টি বুথে বসতে দেওয়া হয়নি কোনও বিরোধী দলের এজেন্টকে। ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নরেন চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘ওই ১২টি বুথে তৃণমূল অবাধে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে। ওই এলাকার অবজার্ভার এবং পুলিশ অবজার্ভারকে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সকাল থেকেই তাঁদের ফোন বন্ধ।’’ দুবরাজপুরের কাঁকরতলায় এ দিন বামেদের এক এজেন্টকে অপহরণ করার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের বিরু্দ্ধে।

বিক্ষিপ্ত ভাবে কয়েকটি জায়গায় অশান্তি ছাড়া উত্তরবঙ্গে গোলমালের খবর খুব বেশি নেই। তবে মালদহের ইংরেজবাজারে বিধানসভা কেন্দ্রের ১৬৩ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে। উত্তর দিনাজপুরে রায়গঞ্জে তৃণমূল ব্যাপক সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। সেখানে ভোট শুরু আগেই কংগ্রেসের একটি ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুর চালানো হয় বেশ কয়েকজন কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতেও। রায়গঞ্জের সেবকপল্লীতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কংগ্রেস কর্মীদের শাসিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement