চা বাগান ঘেরা পথে পায়চারি মুখ্যমন্ত্রীর। ছবি: সব্যসাচী ঘোষ
সকাল থেকেই বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। তাই মুখ্যমন্ত্রী দিনভর ডুয়ার্সের চালসার বেসরকারি রিসর্টে কাটাবার পর বিকেল আকাশ পরিষ্কার দেখে বেরোবার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু হাঁটতে বেরোবার আগে রিসর্টের বাইরে অপেক্ষা করছিল সাংবাদিকেরা। কেউ যাতে পিছু না নিতে পারে, তার জন্যে নিরাপত্তাকর্মীরা সকলকেই আগেভাগে হটিয়ে দেন। বিকেল সাড়ে চারটের পরে রিসর্ট থেকে গাড়িতে করেই বাইরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে সুনতালেখোলা পর্যন্ত যাবার কথা থাকলেও পরে বাতিল করে দেওয়া হয়। রিসর্ট থেকে গাড়িতে বেড়িয়ে পরে আইভিল এবং ইনডং চা বাগানের পথে রাজ্য সড়কে বেশ কিছুটা পথ হাঁটেন মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা শ্রমিকেরা মুখ্যমন্ত্রীকে চোখের দেখা দেখলেও কাউকেই পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করতে দেননি নিরাপত্তাকর্মীরা। এরপর পৌনে ছটা নাগাদ ফের রিসর্টে ফেরেন তিনি। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী কারও সঙ্গেই দেখা করেননি। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা থেকে বেরিয়ে এসে পৃথক উন্নয়ন ফোরাম তৈরি করা ডুয়ার্স এবং তরাই এলাকার চার নেতা এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এলে তাঁরাও রিসর্টে ঢোকার অনুমতি পাননি। পরে সেই দলের প্রতিনিধি বিনোদ ঘাতানি জানান, দেখা করার জন্যে লিখিত আর্জি দিয়ে এসেছেন, দ্রুতই ডাক পাবেন বলে মনে করছেন।
এ দিন মু্খ্যমন্ত্রী যে রিসর্টে উঠেছেন, তার বাইরে দিয়ে বেশ কয়েকবার গাড়ি নিয়ে ঘুরে আসেন কংগ্রেসের নাগরাকাটা এলাকার বিধায়ক তথা জোটপ্রার্থী জোশেফ মুন্ডা। জোশেফ অভিযোগ করেন, বীরভূমে যে কায়দায় অনুব্রত ভোট করান কোচবিহারে সে ভাবেই ভোটপরিচালনা করতেই এখানে এসে মুখ্যমন্ত্রী বসে আছেন। তিনি বলেন, ‘‘কোনও পুলিশ আধিকারিক ভেতরে আসছেন কি না, সেদিকেও আমরা সতর্ক নজর রেখেছি।’’ এদিন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া রিসর্টের বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে আসেন। তবে রিসর্টের ভেতরে ঢুকতে দেখা যায়নি তাঁকে।