নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করল, নন্দীগ্রামে জিতেছেন শুভেন্দু অধিকারীই। পুনর্গণনা হবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।
ভোটগণনা ঘিরে বিভ্রান্তি। আপাতত ফলাফল ঘোষণা স্থগিত নন্দীগ্রামে। নতুন করে গণনা হতে পারে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রিটার্নিং অফিসার। জানালেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব।
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন, নাকি শুভেন্দু অধিকারী জিতেছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দেয়। সংবাদসংস্থা এএনআই টুইট করে জানায়, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে ১২০০ ভোটে জিতেছেন মমতা। কিন্তু পরে জানা যায় শুভেন্দু জিতেছেন। আনন্দবাজার ডিজিটালকে সে কথা জানান শুভেন্দু নিজেই। এই ঘটনা নিয়ে কমিশনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মমতা। বললেন, ‘নন্দীগ্রামের মানুষের রায় মেনে নিচ্ছি। কিন্তু ওখানে ভোট লুঠ হয়েছে। আদালতে যাব আমরা।’
রাজ্যের ফল নিশ্চিত হতেই দেখা গেল কালীঘাটে নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পায়ে হেঁটে অফিসে ঢুকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৭ রাউন্ডের শেষে ডোমজুড়ে ৪১ হাজার ভোটে পিছিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাসতে ২৩ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। রাজারহাট-গোপালপুরে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী অদিতি মুন্সি। কাশীপুর-বেলগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী অতীন ঘোষ। ৩৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী। তৃণমূল প্রার্থী মন্টুরাম পাখিরা কাকদ্বীপ বিধানসভা জয়ী হয়েছেন। জয়ের ব্যবধান ২৫ হাজার ৩৩৩। দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লক্ষণ ঘড়ুই ১৪ হাজার ৭৬১ ভোটে জয়ী। মেদিনীপুর কেন্দ্রে জয়ী তৃণমূলের তারকা প্রার্থী জুন মালিয়া।
সিঙ্গুরে বেচারাম মান্না ২৫৯৩৩ ভোটে জয়ী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে পরাজিত করলেন তিনি। ভাঙড়ে সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকি ২৬ হাজার ৩৭৬ ভোটে জয়ী। অন্য দিকে আসানসোল দক্ষিণে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষকে হারালেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। খড়্গপুর সদরে ৩১১৯ ভোটে জয়ী বিজেপি-র হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সোনারপুর দক্ষিণে জিতেছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী লাভলি মৈত্র।
নন্দীগ্রামে ১৬ রাউন্ড গণনার শেষে মাত্র ৬ ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি আর এক রাউন্ড ভোটগণনা।
নন্দীগ্রামে যেন সাপ-লুডোর খেলা চলছে। এক বার মমতা এগোচ্ছেন, তো একবার শুভেন্দু। পঞ্চদশ রাউন্ডের শেষে ফের ৮ হাজার ভোটে এগিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বালিগঞ্জ কেন্দ্রে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা বন্দর কেন্দ্রে ফিরহাদ হাকিম, ভবানীপুর কেন্দ্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েটরা এগিয়ে রয়েছেন বড় ব্যবধানে।
নন্দীগ্রামে ফের পিছিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট গণনার শুরু থেকেই পিছিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু ১১ রাউন্ডের শেষে ৩৩২৭ ভোটে এগিয়ে যান মমতা। ১২ রাউন্ডের শেষে ফের এগিয়েছেন শুভেন্দু। ১২ রাউন্ড শেষে শুভেন্দুর প্রাপ্ত ভোট ৭৯ হাজার ৯০। অন্য দিকে মমতা পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৬৯১ ভোট।
জিতলেন আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মলয় ঘটক। বারাবনির তৃণমূল প্রার্থী বিধান উপাধ্যায় জয়লাভ করলেন। জামুড়িয়ায় তৃণমূল প্রার্থী হরেরাম সিংহ ৭৭৬৯ ভোটে জয়লাভ করলেন। ৩২ হাজার ৩৩৯ ভোটে জয়ী শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মনোজ তিওয়ারি। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে জয়ী তৃণমূলের সমীর পাঁজা। উলুবেড়িয়া পূর্ব থেকে জয়ী প্রাক্তন ফুটবলার তথা তৃণমূল প্রার্থী বিদেশ বসু। পশ্চিম বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ৩২৯৫ ভোটে জয়লাভ করলেন। বজবজ কেন্দ্রে জয়ী তৃণমূলের অশোক দেব। ইটাহারের তৃণমূল প্রার্থী মোশারফ হোসেন প্রায় ৪৪ হাজার ভোটে জয়ী।
কুলটিতে জয়ী বিজেপি প্রার্থী অজয় পোদ্দার। শিলিগুড়িতে জয়ী বিজেপি-র শঙ্কর ঘোষ। দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লক্ষণ ঘড়ুই ১৪ হাজার ৭৬১ ভোটে জয়লাভ করলেন।
শীতলখুচি বিধানসভা কেন্দ্রে ১৬ রাউন্ড শেষে ১৮ হাজার ৫৩৪ ভোটে বিজেপি এগিয়ে।
নন্দীগ্রামে এগিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট গণনার শুরু থেকেই পিছিয়ে ছিলেন তিনি। এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু ধীরে ধীরে ব্যবধান কমতে থাকে। ১১ রাউন্ডের শেষে ৩৩২৭ ভোটে এগিয়ে মমতা।
দুই দিকে দুই ক্রিকেটার প্রার্থী। এক দিকে শিবপুরে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মনোজ তিওয়ারি। অন্য দিকে ময়নায় পিছিয়ে রয়েছেন অশোক ডিন্ডা।
ব্যারাকপুরে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী। অন্য দিকে রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্রে এগিয়ে তৃণমূলেরই অদিতি মুন্সি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে ১০ হাজার ৬০০ ভোট এগিয়ে তিনি। চৌরঙ্গি কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূলের নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়।
কামারহাটিতে বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ২০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র। অন্য দিকে রাসবিহারী কেন্দ্রে ব্যবধান বাড়াচ্ছেন দেবাশিস কুমার। ২৩০০ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।
আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে এগিয়ে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। পিছিয়ে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। অন্য দিকে বাঁকুড়া কেন্দ্রে এগিয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০০-র বেশি আসনে এগিয়ে গেল তৃণমূল। এখনও পর্যন্ত ভোটগণনার খবর অনুযায়ী ২০৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। অন্য দিকে ৮৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
রাসবিহারীতে এগিয়ে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস কুমার। বিজেপি প্রার্থী সুব্রত সাহার থেকে ৩২০ ভোটে এগিয়ে তিনি। অন্য দিকে উত্তরপাড়ায় ফের এগিয়ে গিয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক।
বরাহনগরে পিছিয়ে রয়েছেন বিজেপি-র তারকা প্রার্থী পার্নো মিত্র। এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূলের তাপস রায়। অন্য দিকে উত্তরপাড়ায় পিছিয়ে পড়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। এগিয়েছেন বিজেপি-র প্রবীর ঘোযাল।