সরকারের সেকেন্ড ম্যানকে মাত্র ৫ লাখ!

রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাদের কথোপকথনের অসম্পাদিত ফুটেজ বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে নারদ নিউজ। তারই নির্বাচিত অংশ তুলে দেওয়া হল। গোপন ক্যামেরায় বন্দি সেই কথোপকথনের যথার্থতা অবশ্য আনন্দবাজারের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাদের কথোপকথনের অসম্পাদিত ফুটেজ বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে নারদ নিউজ। তারই নির্বাচিত অংশ তুলে দেওয়া হল। গোপন ক্যামেরায় বন্দি সেই কথোপকথনের যথার্থতা অবশ্য আনন্দবাজারের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:১৮
Share:

সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ইকবাল আহমেদ

সুব্রত: বসুন। কোত্থেকে?

Advertisement

ইকবাল আহমেদ: উনি চেন্নাই থেকে আসছেন।

সুব্রত: চেন্নাই। আচ্ছা।

Advertisement

ম্যাথু স্যামুয়েল (নারদা নিউজের প্রধান): স্যার, এই আমার কার্ড। আমরা ২৫-৩০টা বহুজাতিক কোম্পানির হয়ে কাজ করি। সামনের ইলেকশনে তৃণমূল তো বড় শক্তি হয়ে উঠছে।... তারা যদি বিজেপি বা কংগ্রেসকে সাপোর্ট করে, সরকার গড়া হয়ে যেতে পারে। তৃণমূল সরকারেও যেতে পারে।

সুব্রত: না- না- না- না।

ম্যাথু: মানে, একটা সম্ভাবনা তো থেকেই যায়...

সুব্রত: না- না। আমি বলছি, আমি আপনাকে পরিষ্কার বলছি— তৃণমূল দিল্লির সরকারে যাবে না। যদিও সব কিছুই ফলের ওপরে নির্ভর করছে। ধরা যাক, তৃণমূল ৩০টা বা ৩১টা, বা ৩৬-৩৭টার মতো আসন পেল। ম্যাক্সিমাম। সেটা হলেই বাংলায় তৃণমূলের দারুণ ফল হবে। উল্টো দিকে, মোদী যদি ২০০ বা তার বেশি আসন পায়, তাঁকে তৃণমূলের ভরসায় থাকতে হবে না।... দেখবেন, বহু আঞ্চলিক দল মোদীর পিছনে ছুটছে।... কংগ্রেস বা বিজেপি বা অন্য কেউ— মমতার সঙ্গে ডিল করতে আসবে না। এটা মাইনাস পয়েন্ট। আর প্লাস পয়েন্টটা হল, বাংলায় কার্যত এক দলের শাসন কায়েম হবে। মমতা ছাড়া কেউ থাকবে না।

ম্যাথু: আচ্ছা। কিন্তু... কিন্তু...

সুব্রত: জেনে রাখুন, প্রকাশ্যে মমতা কখনও মোদীর হাত ধরতে যাবে না। কোনও এমপি যদি টাকা নিয়ে বা অন্য কোনও কারণে ওই পথে হাঁটে, মমতা তাকে দূর করে দেবে।

ম্যাথু: কিন্তু ভোটের পরে মমতা বড় শক্তি হয়ে উঠবেন।

সুব্রত: তা হবে।

ম্যাথু: আমি এসেছি আপনাদের সমর্থন জানাতে। যাতে পরে আমরা কাজ করতে পারি। মানে কাজ পেতে পারি।

সুব্রত: হ্যাঁ হ্যাঁ। আমি বুঝেছি। আপনারা পরে আনঅফিসিয়ালি সাপোর্ট চান, যাতে কাজের বরাত পেতে পারেন।... যেমন বেশ কয়েকটা কোম্পানি নরেন্দ্র মোদীর পেছনে দাঁড়িয়েছে।

ম্যাথু: একদম ঠিক।

সুব্রত: মানে গিভ অ্যান্ড টেক। তোমরা এখন আমাদের দিচ্ছো। পরে সেটা বুঝে নেবে।

ম্যাথু: ...আমি কিছু টাকা আপনাকে দিতে চাই।

সুব্রত: ঠিক আছে।... দিন।

ইকবাল: সরকারের সেকেন্ড ম্যানকে মাত্র পাঁচ লাখ! পরে আরও দিয়ে যাবেন।

ম্যাথু: বিলকুল... বিলকুল...

সুব্রত: (ইকবালকে দেখিয়ে) ইনি কে জানেন? ইনিই আমাকে মেয়র বানিয়েছিলেন।

ম্যাথু: (টাকার বান্ডিল সুব্রতর হাতে দিয়ে) চার লাখ আছে। এক লাখ পরে দিয়ে যাচ্ছি।

সুব্রত: ওকে। (টাকার বান্ডিল নিয়ে পিছনের দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে যান)

ম্যাথু: আপনাদের আশীর্বাদ চাই স্যার।

(ইকবালের সঙ্গে বেরিয়ে আসেন ম্যাথু। লিফটে)

ইকবাল: আমারও কিছু টাকা লাগবে। আমি আপনার হোটেলে গিয়ে নিয়ে আসব।

ম্যাথু: আপনাকে আগে ৫ লাখ দিয়েছি। ঠিক আছে আসবেন।

ইকবাল: এরা সব বড় বড় লোক। এদের সঙ্গে দেখা করিয়ে দিয়েছি। দশ লাখ তো লাগবেই।

ম্যাথু: ওকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement