কাশীপুরের তৃণমূল নেতা আনোয়ার খানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। আনোয়ার খান সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে ফোনে তৃণমূল কর্মীদের বলেন, ‘‘ইলেকশন কমিশন কে মুহ্ পে জুতা মারো।’’ এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই আনোয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কাশীপুর এলাকার দুই তৃণমূল নেতা স্বপন চক্রবর্তী এবং আনোয়ার খানকে ভোটের সকালেই নজরবন্দি করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাতে দুষ্কৃতী-দাপট থামানো যায়নি। নজরবন্দি অবস্থাতেই আনোয়ার ছাপ্পা ভোটের নির্দেশ দিতে শুরু করেন। আনোয়ারের আপত্তিকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পেয়েই তৎপর হয়েছে কলকাতা পুলিশ। ডিসি নর্থ শুভঙ্কর সিংহ সরকার যখন ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশনের বুথে পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন, তখনই তাঁকে ফোন করেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। অবিলম্বে আনোয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। নগরপালের নির্দেশ পেয়েই বাহিনী নিয়ে কাশীপুর রওনা দেন ডিসি নর্থ।
কলকাতার এন্টালি বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথ থেকে সিপিএম-এর এজেন্টদের তুলে দিতে শুরু করল তৃণমূল। সিপিএম প্রার্থী দেবেশ দাস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতে তাঁকে ঘিরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন শাসক দলের এজেন্টরা। বহু চেষ্টাতেও বুথে নিজের এজেন্টদের ঢোকাতে পারেননি দেবেশ দাস।
বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার অল্পক্ষণের মধ্যেই এন্টালির তিনটি বুথ থেকে সিপিএম এজেন্টদের বার করে দেয় তৃণমূল। পুলিশের ভূমিকা সেখানে খুব একটা সন্তোষজনক ছিল না বলে বিরোধীদের দাবি। দেবেশ দাস ওই বুথে পৌঁছনোর পর তাঁকে ভোটকেন্দ্রের দরজাতেই আটকে দেয় তৃণমূল। দেবেশ দাসকে ঘিরে ধরে গালিগালাজ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সিপিএম প্রার্থীকে হেনস্থার হাত থেকে রক্ষা করেন। কিন্তু এজেন্টদের বুথে না ঢুকিয়েই এলাকা ছাড়াতে হয় দেবেশকে।
দেখুন সেই ভিডিও:
বেলগাছিয়া এলাকায় পাঁচটি বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বাম এজেন্টদের। পুলিশ সেখানে কড়া পদক্ষেপ করে। তৃণমূলের বেআইনি জমায়েত হঠিয়ে বুথে ঢুকিয়ে দেয় বাম এজেন্টদের।
আরও পড়ুন:
মরিয়া শাসক, রক্তাক্ত তৃতীয় দফা, ডোমকলে খুন সিপিএম এজেন্ট